
ছবি: সংগৃহীত
এই গরমে শুধু ঘাম ঝরিয়ে সময় কাটালেই হবে না—নিজের হৃদয়ও চাই যত্ন। একজন কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী, গ্রীষ্মকাল হতে পারে হৃদয়কে আরও সুস্থ ও শক্তিশালী করে তোলার উপযুক্ত সময়। নিচে রইল এমন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা এই গরমে করলে হৃদয়ের স্বাস্থ্যে মিলবে ইতিবাচক পরিবর্তন। একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের মতে গ্রীষ্মে হৃদয় ভালো রাখার ৫টি উপায়
১. নিয়মিত হাঁটুন, তবে সকাল বা সন্ধ্যায়
গরমের তীব্রতা থাকলেও প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা হৃদয়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পরামর্শ: ভোরবেলা বা সূর্যাস্তের পর হাঁটুন—তাপমাত্রা কম থাকে, আর শরীরও চনমনে থাকে। হাঁটার ফলে: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল কমে, হৃদয়ের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন (হাইড্রেটেড থাকুন)
গরমে ঘাম বেশি হয়, ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এতে রক্ত ঘন হয়ে যায়, যা হৃদয়ের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ: প্রতিদিন অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন, ক্যাফেইন ও চিনিযুক্ত ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজনে নারকেল পানি বা লেবু পানি খেতে পারেন।
৩. হৃদয়বান্ধব খাদ্য বেছে নিন
গ্রীষ্মে বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা করে এবং কোলেস্টেরল বাড়ায়। খাবারের তালিকায় রাখুন: মৌসুমি ফল (তরমুজ, আম, জাম), সবুজ শাকসবজি, ওটস, লাল আটার রুটি, বাদাম। বর্জন করুন: ভাজা-পোড়া, প্রসেসড খাবার, অতিরিক্ত লবণ ও চিনি।
৪. ঘুম ও মানসিক প্রশান্তির যত্ন নিন
গ্রীষ্মে ঘুম ব্যাহত হলে তা সরাসরি হৃদপিণ্ডের উপর প্রভাব ফেলে। টিপস: রাতে ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন, ঘুমানোর আগে মোবাইল ও স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন, মেডিটেশন ও নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
৫. রেগুলার হেলথ চেকআপ করান
গরমে উচ্চ রক্তচাপ বা ডিহাইড্রেশন অনেকের অজান্তে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন: প্রতি ৩–৬ মাস অন্তর হৃদয় সংক্রান্ত রুটিন চেকআপ, রক্তচাপ, ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করুন, প্রয়োজন হলে ইসিজি ও ইকোকার্ডিওগ্রাম।
হৃদরোগ কোনো একদিনে হয় না—এটি তৈরি হয় বছরের পর বছর ধরে। কিন্তু সঠিক জীবনযাপন শুরু করলে হৃদয়ের সুস্থতা ফিরে আসে দ্রুতই। গ্রীষ্মের এই সময়টুকু হোক স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার সোনালি সুযোগ।
ফারুক