
ছবি: সংগৃহীত
"মা" শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে সমস্ত পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর সম্বোধন। মা হচ্ছেন সেই মহীয়সী নারী যিনি নিজের সমস্ত স্বপ্ন, সুখ, এমনকি জীবনটাকেও নিঃশব্দে বিসর্জন দেন শুধু সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।
মায়ের ত্যাগের কোনো হিসাব নেই। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত সন্তানের পাশে জেগে থাকা, ক্ষুধার সময় নিজের ভাগের খাবার গোপনে পাতে ঢেলে দেওয়া, অসুখে বুকের তাপে শীতল করা—এসবই তো মায়ের নিত্যদিনের সাধনা। তিনি কখনো হিসাব করেন না, কখনো দাবি করেন না প্রতিদান। শুধু একটাই চাওয়া—"আমার সন্তান যেন সুখে থাকে।"
মায়ের চোখের জল কেউ দেখে না। সন্তানের ব্যথায় তাঁর হৃদয় ফেটে যায়, তবু তিনি মুখে হাসি জড়িয়ে বলেন, "আমি আছি।" সংসারের হাজার দুঃখ-কষ্ট তিনি নিজের বুকে চেপে রাখেন, যাতে সন্তানের জীবনটা নিশ্চিন্তে আলোয় ভরে যায়। মায়ের এই নীরব কষ্টই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তপস্যা। মায়ের ভালোবাসা কোনো শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ নয়। সন্তান সফল হোক বা ব্যর্থ, ধনী হোক বা দরিদ্র—মায়ের হৃদয়ে তার স্থান সর্বদা অটুট।
এই ভালোবাসা এতটাই নিঃস্বার্থ যে, সন্তান নিজে যখন মায়ের বুড়ো আঙুল ধরে হাঁটতে শেখে, তখন মা ভুলে যান তাঁর নিজের হাঁটুতে ব্যথা লাগছে। মায়ের ঋণ শোধ করা যায় না, কিন্তু তাঁর ভালোবাসাকে সম্মান দেওয়া যায়।
একটি ফোন কল, এক মুঠো স্নেহ, একটুখানি সময়—এই সামান্য জিনিসেই মায়ের চোখ ভরে যায় সুখে। মায়ের মুখে হাসি ফোটানোই হলো জীবনের সবচেয়ে বড় পূজা। মা-ই আমাদের প্রথম শিক্ষক, প্রথম বন্ধু এবং শেষ আশ্রয়। তাঁর ভালোবাসার মূল্য বুঝতে পারাটাই হলো জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
"মা হচ্ছেন সেই ফুল, যিনি নিজের সুবাস দিয়ে পৃথিবীকে সুন্দর করেন, নিজে ঝরে পড়েন নীরবে।"
Mily