
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ বলেন, "শিল্পীদের কখনোই রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়। রাজনীতি করতে হলে সেটা একটি সম্পূর্ণ আলাদা ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া উচিত। পেশাদার অভিনেতা অবস্থায় রাজনীতিতে নামলে, সেখানে স্বার্থের সংঘর্ষ তৈরি হয় এবং অন্যের সুবিধার জন্য শিল্পীদের ব্যবহার করা হয়।"
সম্প্রতি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার ও জামিন ইস্যুতে বাপ্পারাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তাকে কেন গ্রেফতার করা হলো, আবার দুই দিন পর কেন জামিন দেওয়া হলো—এমন প্রশ্ন তো সাধারণ মানুষের মনে আসতেই পারে। যদি প্রকৃত কেস থাকে, তাহলে জামিন কেন? আবার কেস না থাকলে গ্রেফতারই বা করা হলো কেন? এসব ঘটনা একজন শিল্পীর জন্য হেনস্তারই শামিল।”
তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তার বিরুদ্ধে কেস আছে। তাহলে ২২ তারিখে জামিন হওয়ার কথা থাকলেও ২০ তারিখেই কেন মুক্তি দেওয়া হলো? এর মানে প্রক্রিয়াটা স্বচ্ছ নয়। এতে জনমনে প্রশ্ন জাগে।”
শিল্পীদের রাজনীতিতে জড়ানো নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়ে বাপ্পারাজ বলেন, “আমি কখনো রাজনীতি করিনি, করতেও চাই না। আমাদের সময়ে শিল্পীরা কোনো দলের সুযোগ নেওয়ার জন্য রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের জড়াননি। কেউ দাওয়াত দিলে আমরা হয়তো গিয়েছি, ছবি তুলেছি, কিন্তু কখনো সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করিনি। এজন্য আমাদের পেছনে কখনো পুলিশ দৌড়ায়নি, আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি।”
তিনি সমালোচনা করে বলেন, “বর্তমানে অনেক শিল্পী স্বার্থের জন্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। চাটুকারিতা করে ফায়দা লুটার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শিল্পী সমিতিও এক সময় একটি দলের মুখপাত্র হয়ে গিয়েছিল। সমিতিতে বাইরের লোকজনকে এনে ফুল-মালা দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হতো, তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা হতো—যা একজন শিল্পীর কাজ নয়।”
বাপ্পারাজ আরও বলেন, “আমরা যখন শিল্পী ছিলাম, তখন নিজেদের অর্থায়নে পুলিশ বা প্রশাসনের জন্য সাহায্য করতাম, ফুটবল খেলতাম, চাঁদা তুলে দিতাম। এখন উল্টো আমাদের শিল্পীরা ওদের কাছ থেকে অনুদান নিচ্ছে। আমরা ছিলাম গর্বিত, স্বাবলম্বী। কিন্তু এখন স্বার্থসন্ধানী কিছু মানুষ শিল্পীদের ব্যবহার করছে নিজেদের ফায়দার জন্য।”
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=M0GUlIR_KVA
এম.কে.