পা্ন্ডুলিপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাঁ থেকে অপূর্ব কুন্ডু, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার ও রিজোয়ান রাজন
শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতিবিম্ব শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। তার যাপিত জীবন, কর্ম এবং শিল্প সৃজনের আলোকে একক নাটক রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুন্ডু। ‘মুনির চৌধুরীর মরমিয়া মন’ শিরোনামের এ নাটকের পান্ডুলিপি হস্তান্তর হয় সম্প্রতি শহীদ মুনীর চৌধুরী সড়কের মাতৃছায়া ভবনের থিয়েটার কার্যালয়ে। বাংলা নাটকের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার ও বিশ্ব আইটিআইয়ের সাম্মানিক সভাপতি রামেন্দু মজুমদারের হাত থেকে নাটকের পা-ুলিপি গ্রহণ করেন নাট্যদল প্যান্টো মাইম মুভমেন্টের দলপ্রধান নির্দেশক-অভিনেতা রিজোয়ান রাজন। নাটকে একক অভিনয় করবেন রিজোয়ান রাজন।
নাট্যকার বলেন, নাটকটির কাহিনী গড়ে উঠেছে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যবর্তী এক ঘণ্টার সময়কে কেন্দ্র করে। টর্চার সেলে কারারুদ্ধ মুনীর চৌধুরীর সামনে দুটি পথ। একটি ক্ষমা ভিক্ষার রাস্তা অপরটি বধ্যভূমির রাস্তা। রাজনৈতিক আন্দোলন এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলন ভুল ছিল স্বীকার করে ক্ষমা ভিক্ষার রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরা অথবা ভুল স্বীকার না করে বীরত্বের সঙ্গে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা। টর্চার সেলে চাপিয়ে দেয়া এই দোত্যনায় শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত নিলেন অধ্যাপক বুদ্ধিজীবী এবং আধুনিক বাংলা নাটকের নাট্যকার মুনীর চৌধুরী। এই দ্বান্ধিকতা নিয়ে নাটকটি।
নাটকের পা-ুলিপি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মুনীর চৌধুরীর বোন অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার ভাইয়ের জীবনের কথা তুলে ধরেন। নাটকটির শিল্প নির্দেশক ও মঞ্চ পরিকল্পক তামিমা সুলতানাকে স্ববিশেষ সময়ের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার কথা বলেন রামেন্দু মজুমদার। পাশাপাশি নির্দেশক রিজোয়ান রাজন এবং তামিমা সুলতানার হাতে তিনি কয়েকটি লেখা এবং চিত্রমালা উপহার দেন যা মুনীর চৌধুরীর মরমিয়া মনকে আরও বেশি প্রস্ফুর্টিত করবে বলেই প্যান্টো মাইম মুভমেন্টের বিশ্বাস। নির্দেশক রিজোয়ান রাজন বলেন, ফেরদৌসী মজুমদার দিক নির্দেশিত আত্ম নিমগ্নতা, রামেন্দ মজুমদার উত্থাপিত সময়কে খনন করা, অপূর্ব কুমার কুন্ডুর আনন্দের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রম করবার মানসিকতা আর প্যান্টো মাইম মুভমেন্টের সদস্যদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে এ বছরের আসন্ন শীতেই আমরা একক অভিনীত নাটক ‘মুনীর চৌধুরীর মরমিয়া মন’ নিয়ে দর্শকদের সামনে আসতে অধীর অপেক্ষায় অপেক্ষমান।