ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১৯ লাখ প্রবাসীকে বিমা সুবিধা দিচ্ছে জীবন বিমা করপোরেশন 

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ১ মার্চ ২০২৩

১৯ লাখ প্রবাসীকে বিমা সুবিধা দিচ্ছে জীবন বিমা করপোরেশন 

প্রবাসী কর্মীদের জন্য বেশি সুযোগ সুবিধাযুক্ত নতুন বিমা স্কিম চালু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা করপোরেশন

প্রবাসী কর্মীদের জন্য বেশি সুযোগ সুবিধাযুক্ত নতুন বিমা স্কিম চালু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা করপোরেশন। বিমার আওতায় একজন বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মী এখন কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু এবং উভয় চোখ বা উভয় হাত হারানোর মতো স্থায়ী পঙ্গুত্বের জন্য ১০ লাখ টাকার বিমা কাভারেজ পাবেন। আগে পেতেন ৪ লাখ টাকা। ১০ ডিসেম্বর থেকে নতুন এই স্কিম চালু হবে। আর এক চোখ বা কবজির ক্ষতির মতো আংশিক স্থায়ী পঙ্গুত্বের জন্য প্রবাসী কর্মীরা ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিমা কাভারেজ পাবেন।

আগের বিমা স্কিমে একজন কর্মী প্রিমিয়াম পরিশোধের পর বিদেশ গিয়ে কাজ না পেয়ে দেশে ফিরলে কোনো ক্ষতিপূরণই পেতেন না। নতুন এই বিমা স্কিমে বিদেশ যাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে কাজ না পেয়ে দেশে ফিরলে ৫০ টাকা সহায়তা পাবেন। এর আগে বিমার এককালীন প্রিমিয়াম (বিমা করতে যে অর্থ পরিশোধ করতে হয়) ছিল ৪৯০ টাকা। বিমার অংক ছিল ৪ লাখ টাকা।

এছাড়া বিমার মেয়াদ ছিল ২ বছর। নতুন বিমা স্কিমে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার টাকা, বিমার অংক ১০ লাখ টাকা করা হয়েছে। মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ বছর।  নতুন এই বিমা চালুর বিষয়ে গতবছরের ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। চুক্তি অনুসারে, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বিদেশগামী প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে জীবন বিমা করপোরেশনে জমা দেবে। 
জানা গেছে, এ পর্যন্ত ১৯ লাখ প্রবাসীকে বিমা সুবিধা দিচ্ছে জীবন বিমা করপোরেশন। এরমধ্যে গতবছর ১১ লাখ প্রবাসীকে বিমা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। ২০২১ সালে প্রায় ৬ লাখ প্রবাসী কর্মীদের বিমার আওতায় আনা হয়েছে। ২০২০ সালে যা ছিল ২ লাখ ১১ হাজার। 
জীবন বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, দেশের সাধারণ মানুষকে আর্থিক অসচ্ছলতায় এবং দুর্যোগকালীন নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এরইমধ্যে সরকারি সিদ্ধান্তে আমরা প্রবাসী বিমা চালু করেছি। প্রায় ১৯ লাখ লোক এ বিমার আওতায় চলে এসেছেন। জীবন বিমা করপোরেশন এই সেবা খুবই কমমূল্যে দিয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত আমরা সব দাবি পরিশোধ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের স্বল্প, নি¤œœ ও মধ্যম আয়ের মানুষকে জীবন বিমার আওতায় নিয়ে আসা। এক শ্রেণির মানুষের কাছে টাকা আছে, তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যারা দরিদ্র মানুষ, বিশেষ করে যারা গ্রামে থাকেন তাদের সমস্যা বেশি। গ্রামের নি¤œ আয়ের সবাই যদি ১০০ টাকা করে সঞ্চয় করে, তখন তার আর্থিক নিরাপত্তা কঠিন কোনো বিষয় না। এমনিতেই বাঙালির সঞ্চয়ের ইচ্ছা কম।

এটা করতে হলে শুধু আমাদের লোক দিয়েই হবে না, মিডিয়ার সহযোগিতাও লাগবে। বিমা শিল্পের প্রসার বাড়ানো সম্পর্কে তিনি বলেন, ডিজাস্টার রিস্ক ইন্স্যুরেন্স চালু করতে পারলে সেটি আরও দারুণ হবে। শস্য বিমার কথাও চিন্তা করছি আমরা, যা এ মুহূূর্তে খুবই প্রয়োজন। এখানে বিনিয়োগ করলে খুব ভালো রিটার্ন আসবে। কিন্তু বিমা পরিচালনার মতো দক্ষ জনশক্তি বাংলাদেশে এখনো গড়ে ওঠেনি।

×