ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে বহির্নোঙরে আটকা ভোগ্যপণ্যবাহী ১৪ জাহাজ 

প্রকাশিত: ১৯:০১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

চট্টগ্রামে বহির্নোঙরে আটকা ভোগ্যপণ্যবাহী ১৪ জাহাজ 

ভোগ্যপণ্যবাহী জাহাজ 

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কয়েক মাস আটকে আছে ভোগ্যপণ্যবাহী জাহাজ। এসব জাহাজের মধ্যে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর ৫৫ হাজার ৬৫০ টন চিনি নিয়ে আসে এসিললিস এস নামের জাহাজ। যেটি বুধবার পর্যন্ত সাগরে ভাসছিল কোন পণ্য খালাস ছাড়াই।

গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি ২৩) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খাদ্যপণ্যের জাহাজ ছিল ১৪টি। এরমধ্যে ৫টিতে চিনি, ৪টিতে ভোজ্যতেল আর ২টিতে গম। বাকিগুলোতে ডাল আর চাল। এছাড়া গত বছরের ১৮ অক্টোবর ৫৫ হাজার টন চিনি নিয়ে আসে ট্রুঅন্থ মিন্থ প্রসপারিটি নামের আরেকটি জাহাজ। এটিও বুধবার পর্যন্ত যা থেকে খালাস হয় মাত্র ২৯ হাজার আড়াইশ টন।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকটেই এমন পরিস্থিতি।

আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকটে এলসি খোলার পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আবার খুলতে পারলেও সরবরাহকারীর পাওনা বুঝে না পেলে জাহাজ থেকে পণ্য নামানো যাচ্ছে না। 

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, এলসি খোলার হার আগের মতোই আছে। আর ডলার সংকটে নয়, নথিপত্র সময়মতো না পৌঁছার কারণেই পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, ডলার সংকট ছিল, এখনও আছে তবে আস্তে আস্তে এ সংকটের উত্তরণ হচ্ছে। আমাদের মূল কথা হল, সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাহুল হক জানান, স্বাভাবিক সময়ে ১৪শ' থেকে ১৫শ' এলসি হতো বর্তমানেও একই পরিমান হচ্ছে। শুধু ডলার সংকটে যে পণ্য খালাস করতে পারছে না তা নয়, প্রয়োজনীয় নথিপত্র সরবরাহে ঘাটতি আছে।

শিপিং এজেন্টরা বলছেন, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সব প্রক্রিয়াই হচ্ছে ধীরগতিতে। এজন্য একেকটি জাহাজের দৈনিক ক্ষতিপূরণ আসছে ২০ থেকে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত। যা আমদানিকারক হয়ে শেষ পর্যন্ত চাপবে প্রান্তিক ভোক্তাদের ঘাড়ে।

 

এমএস

×