
ছবি:সংগৃহীত
বর্তমানে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যেমন বিকাশ, নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তবে অনেক সময় অসতর্কতায় টাকা চলে যাচ্ছে ভুল নম্বরে, আবার প্রতারণার মাধ্যমে অনেকেই তাদের সঞ্চিত অর্থ হারাচ্ছেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপ ও সচেতনতা।
ভুল নম্বরে টাকা গেলে করণীয় কী?
টাকা ভুল জায়গায় পাঠালে প্রথমেই থানা নয়, বিকাশ বা নগদের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করুন।
- বিকাশ হেল্পলাইন: 16247
- নগদ হেল্পলাইন: 16167 / 09609616167
এখানে কল করে আপনাকে যেই ট্রানজেকশন আইডি আছে সেটা দিতে হবে।
ট্রানজেকশন আইডি কোথায় পাবেন?
বিকাশ বা নগদের অ্যাপে ঢুকে "ইনবক্স" বা "লেনদেন" অপশনে গেলে আপনি আপনার সব লেনদেনের তালিকা দেখতে পাবেন। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট লেনদেনের ট্রানজেকশন আইডি কপি করে রাখুন।
এই আইডি দিয়ে কাস্টমার কেয়ারে বললে তারা সেই লেনদেনটি সাময়িকভাবে ব্লক করে দিবে, যাতে যার নম্বরে টাকা গেছে সে তা তুলতে না পারে।
এরপর আপনি থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন।
এই জিডির কপি কাস্টমার কেয়ারে জমা দিলে তারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টাকা ফেরত আনার চেষ্টা করে।
প্রতারণার নতুন নতুন ফাঁদ
বর্তমানে প্রতারকরা নানা ধরণের ফাঁদ পেতে সাধারণ মানুষের বিকাশ/নগদ একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
তারা ফোন করে বলে, “আপনার একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, সচল করতে হলে কিছু তথ্য দিতে হবে।”
তারা আপনার জন্মসাল, এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর এসব চায়, যদিও পিনকোড চায় না — কিন্তু এতেই তারা একাউন্টে ঢুকে টাকা নিয়ে নিচ্ছে।
কীভাবে প্রতারণা ঠেকাবেন?
- কেউ ফোন করে যদি বলে "আপনার একাউন্ট বন্ধ" — ফোন কেটে দিন।
- বিকাশ/নগদ কখনোই গ্রাহককে ফোন করে না কোনো তথ্য চাইতে।
- অপরিচিত কাউকে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষ করে OTP, জন্মতারিখ, এনআইডি নম্বর দেবেন না।
- সন্দেহ হলে সরাসরি বিকাশ/নগদের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন দিন।
করণীয় সারসংক্ষেপ:
- টাকা ভুল নম্বরে গেলে দ্রুত কাস্টমার কেয়ারে ফোন করুন।
- ট্রানজেকশন আইডি সংগ্রহ করে দিন।
- লেনদেন ব্লক হলে থানায় গিয়ে জিডি করুন।
- প্রতারণামূলক ফোন এড়িয়ে চলুন।
- কোনো ব্যক্তিগত তথ্য ফোনে কাউকে দিবেন না।
পরামর্শ:
"সতর্কতা এবং সচেতনতা আপনাকে মোবাইল লেনদেনে নিরাপদ রাখতে পারে। প্রতিটি মুহূর্তে সাবধান থাকুন।"
তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/XKmkp4dlcKg?si=jlwcas6Tsaxv6xwc
মারিয়া