.
রাজারহাট রেল স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস যাত্রা বিরতির জন্য শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করে রাখে রাজারহাট সংবলিত ছাত্র-জনতা।
এ সময় ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি নিয়ে বক্তব্য রাখেন খন্দকার আরিফ, আল মিজান মাহিন, আরিফুল ইসলাম, শামছুজ্জামান সরকার সুজা, মীর মোশারফ হোসেন, আহসান হাবীব লাল, মোশারফ হোসেন লেলিন, হামিদুল ইসলাম,, রাশেদুল ইসলাম ও খ ম আরিফুল ইসলাম সুজন। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ায় ঢাকাগামী ট্রেনটি অবরোধের পর ট্রেনযাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। খবর পেয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি রেল কর্তৃপক্ষ মেনে না নেওয়ায় কুড়িগ্রাম-তিস্তা রেললাইনের ওপর বসে পড়েন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
পরে কুড়িগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মাসুদ বিল্লাহ্র নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর কুড়িগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা মুঠোফোনে ট্রেন বিরতির আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা প্রায় ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট পর সকাল ১০টা ২০মিনিটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে দিলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
এ সময় সেনাবাহিনীর টিম ও রাজারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মাসুদ বিল্লাহ্ জানান, আন্দোলনকারীরা ট্রেন অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে কুড়িগ্রাম ডিসি স্যারের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়।