
ছায়ানট মিলনায়তনে ‘পশ্চিমের রবি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা
রবীন্দ্রনাথ মানেই যেন সৃষ্টিশীলতার এক অপার ঐশ্বর্য। যে সৃষ্টির আলোয় আলোকিত হয় বাঙালীর মনন। ধরা দেয় জীবনের স্ফূরণ। বিশালত্বের সেই জগতে সাহিত্যের বাইরেও শিল্পের ভুবনে হৃদয় রাঙায় বিশ্বকবির সৃষ্টির নির্যাস। শুক্রবার শ্রাবণের সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে শিল্পের সেই অবারিত ভুবনে ভিন্ন আঙ্গিকে খুঁজে নেয়া হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। পরিবেশিত হলো তার রচিত গান। সঙ্গে ছিল কবিগুরুর ভাঙাগানের উপস্থাপনা। আয়োজনটিতে মূলত বিভিন্ন পশ্চিমা সঙ্গীত থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ রচিত গানের সম্মিলন ঘটে। সেই সুবাদে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি পরিবেশিত হয় কবিকে অনুপ্রাণিত করা সে সব ওয়েস্টার্ন মিউজিক। গানের সঙ্গে আয়োজনকে আরও রঙিন করেছে নান্দনিক নৃত্য পরিবেশনা। বৈচিত্র্য ছড়িয়েছে কবিতার দোলায়িত ছন্দের আবৃত্তি পরিবেশনা। এভাবেই রবির আলোয় সজ্জিত সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানটি অন্যরকম এক ভাললাগার অনুভব ছড়িয়েছে শ্রোতা-দর্শকের হৃদয়ের অলিন্দে।
নাচ-গান ও কবিতাকে এক সুতায় গাঁথা ‘পশ্চিমের রবি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আনন্দধারা আর্টস ও নৃত্য নন্দন। দেড় ঘণ্টা ব্যাপ্তির অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন ইমতিয়াজ আহমেদ। নৃত্য পরিচালনা করেছেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দোপাধ্যায় এবং উদীয়মান নৃত্যশিল্পী সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিলেতে তথা বিশ্ব সংস্কৃতির পরিসরে রবীন্দ্রনাথের সম্পৃক্ততার ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন লেখক ও অধ্যাপক শফি আহমেদ।
পরিবেশনা পর্বে পশ্চিমা সুরাশ্রিত রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন ইমতিয়াজ আহমেদ। শ্রোতাকে মোহাবিষ্ট করা তার গাওয়া গানগুলোর শিরোনাম ছিল- কতবার ভেবেছিনু, ফুলে ফুলে, ঢলে ঢলে, দেখবি রে ভাই, সকলি ফুরালো, কালি কালি বলো রে, তবে আয় সবে আয়, আহা আজি এ বসন্তে ও পুরনো সেই দিনের কথা। আর পশ্চিমা সঙ্গীতের নির্যাসে সৃষ্ট এসব ভাঙাগানের বিদেশী ভাষার মূল গানগুলো শুনিয়ে সুররসিকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়েছেন উর্বি মধুরা ও পূর্বা অধরা। এই শিল্পীদ্বয়ের গাওয়া ওয়েস্টার্ন মিউজিকগুলোর শিরোনাম ছিল- ড্রিংক টু মি অনলি উইথ থিন আইস, ব্যাংকস এ্যান্ড ব্রিজ, দ্য ভিকার ব্রে, হোয়াটস দিস ডাল ডাউন টু মি, গো হোয়্যার গ্লোরি ওয়েটস থি ইত্যাদি।
ধারা বর্ণনার পাশাপাশি কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে আবৃত্তি উপস্থাপন করেন বরেণ্য বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান। রবীন্দ্রনাথের গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য নন্দনের শিক্ষার্থী শিল্পীরা।
‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ॥ স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস থেকে জানান, ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বইটি সম্পাদনা করেছেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি গাজী আলাউদ্দিন আহমদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ আবেদ আলী ও পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী। স্বাগত জানান সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, খুলনা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি এসএম শাহনেওয়াজ আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রন্থের প্রকাশক ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি গাজী আলাউদ্দিন আহমদ। পরে মেয়র ‘উন্নয়নের সরণিতে পদ্মা সেতু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।