রায়
চন্দনকৃষ্ণ পাল
ধূসর দেখলেই মরু ভেবে বসা ঠিক নয়।
নানান সমীকরণে প্রকৃতি সাজায় তার রূপ
ধোঁয়া ও কুয়াশার আবরণে নিজেকে জড়ায়
তোমার চোখের আয়ু আর কতো দূর?
মগজও স্থির আছে কী না কে জানে বলো।
তাই বলি, রায় প্রকাশের আগে
প্রমাণপত্রের ঠিক ঠিকানায় মনোযোগ দাও
তারপর রায় পড়ো।
স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ুক প্রকৃতি।
** মর্মর ধ্বনি
মাঈনউদ্দীন আহমেদ মাহী
শরতেও কোকিলের গান শোনা যায়
একাকী অলস শরীর হেলিয়ে বসে আছে দুপুর
আর আমি একটা পাহাড় কেনায় মগ্ন;
ছোটবেলায় সেই পাহাড়কে ভালোবেসে
নাম দিয়েছিলাম পাহাড়ি।
পাহাড় আজও জানলো না কেউ তাকে শৈশবে
ভালোবেসেছে; যৌবনে তার বুকে শিরীষের পাতা ঝরা
পথে হেঁটে যাই আমি এক প্রেমিক যুবক...
বিকেলের গায়ে তার আরতির রঙে; পায়ে নূপুরের
শব্দের মতো বাজে শুকনো পাতা
যা আমিই শুনতে পাই।
সন্ধ্যার আকাশে ভেজা শাড়ির মতো তুলোর মেঘ
ভেসে বেড়ায় পাহাড়ের বুকে
যা আমি ছাড়া দেখতেও পায় না কেউ।
** সেদ্ধ মাছ
মেহেদী ইকবাল
আমি সত্যি জানি না আমার কি করা উচিত
বোকার মতো আমি দাঁড়িয়ে আছি রাস্তার পাশে
দুপুরের রোদ আমাকে চাইছে ছিঁড়ে ফেলতে।
একটা কুকুর মাথা নিচু করে হেঁটে গেল পাশ দিয়ে
সে আমাকে দেখলো কি দেখলো না আমি সত্যি
বলতে পারব না। আমার পকেটে একটা মাছ
তড়পাতে তড়পাতে এখন সেদ্ধ হয়ে গেছে
মাছটি আমিই কিনেছিলাম অথচ তার নাম জানি না।
আমি সত্যি জানি না আমার কি করা উচিত
একটা নদী কখন যে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমার।
সে কাঁদছে কি কাঁদছে না আমি কিন্তু বলতে পারব না
আমি ছায়া পাচ্ছি না কোনো গাছের
দুপুরের রোদ আমাকে চাইছে ছিঁড়ে ফেলতে।
আমি একটি মাছের স্বপ্ন দেখেছিলাম
মাছটি কিনেছিলাম আমি নিজে, অথচ
তড়পাতে তড়পাতে মাছটি এখন সেদ্ধ হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: