ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির উদগীরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির উদগীরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরি উদগীরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে । এই ঘটনায় বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। জাভা দ্বীপের পর্বত থেকে শনিবার উত্তপ্ত ঘন ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডুলি উৎক্ষিপ্ত হয়ে আশপাশের গ্রামগুলো ঢেকে দেয়। বিস্তৃত এলাকা ঘন ছাইয়ে ঢাকা পড়ে গেছে। নিচের গ্রামগুলোতে সামরিক কর্মকর্তারা, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাত দিয়ে ছাই, কাদা সরিয়ে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। সোমবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে, আরও ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র তাদের টুইটার একাউন্টে সোমবারের উদগীরণের কথা নিশ্চিত করেছে। আগ্নেয়গিরিটির সক্রিয়তা অব্যাহত আছে বলে সতর্ক করেছে তারা। সুম্বুলউলু এলাকায় খারাপ আবহাওয়ার কারণে ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের বের করে আনতে উদ্ধারকারী দলগুলোকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। দেশটির জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার (বাসারনাস) অভিযান বিষয়ক পরিচালক উরিয়ান্তো সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,“প্রধান অন্তরায় আবহওয়া। সামনে আবহাওয়া ভালো হয়ে ওঠার সম্ভাবনায় আশাবাদি আমরা, এতে তল্লাশি চালানো সহজ হয়ে উঠবে,” এক লোকজন ফেইসবুকে তাদের নিখোঁজ প্রিয়জনদের ছবি শেয়ার করে তাদের বিষয়ে কোনো তথ্য পেলে জানানোর আবেদন জানিয়েছেন। উদগীরণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, এদের অধিকাংশই দগ্ধ হয়েছেন। নেমে আসা লাভার প্রবাহে শনিবার লুমাজাং জেলার দুটি এলাকার সঙ্গে মালাং শহরকে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। বাস্তুচ্যুত ১৭০০ জনেরও বেশি মানুষের জন্য লঙ্গরখানা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। দুর্গত এলাকার উদ্দেশ্যে চাল, কম্বল, কাপড়চোপড় ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ত্রাণ প্যাকেজ পাঠানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে সেমেরু একটি। জাভা দ্বীপে ৩৬০০ মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত জানুয়ারিতেও উদগীরণ হয়েছিল, তবে তখন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
×