আগাম জামিন নিতে আসা শংক দাস বড়ুয়া কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থপাচার মামলায় আগাম জামিন নিতে আসা শংক দাস বড়ুয়াকে সরাসারি হাজতে পাঠিয়েছেন হাইকোর্ট। শংক দাস বড়ুয়া ইউপিডিএফ ও জেএসএস নামক জঙ্গী সংগঠনের সদস্য হয়ে চাঁদাবাজি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও তাপস কুমার বিশ্বাস। আদালতে শংকদাস বড়ুয়ার আগাম জামিন শুনানির সময় কোর্ট ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, জামিন আবেদনের বিষয়ে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপারের কাছে খবর নিন। সেই পর্যন্ত শংকদাস কোর্ট কাস্টডিতে থাকবে। এরপর ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে তার সম্পর্কে হাইকোর্টকে তথ্য দেন। জানা গেছে, শংকদাসের বিরুদ্ধে জঙ্গী সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও মাদক আইনেও মামলা আছে। তখন কোর্ট পুলিশ সুপারকে জুম আইডির মাধ্যমে কোর্টে সংযুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন। রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন জুম আইডির মাধ্যমে হাইকোর্টে সংযুক্ত হন। পরে হাইকোর্ট পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বিস্তারিত শোনেন। পুলিশ সুপার হাইকোর্টকে জানান, এরা গভীর জঙ্গলে থেকে অপরাধ কর্ম চালায় বলে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না। তখন আসামির আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে সরাসরি হাজতে নেয়ার জন্য শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মামলার এজাহার মতে জানা যায়, শংকদাস বড়ুয়া টিম্বার এ্যান্ড সাপ্লায়ার ব্যবসার আড়ালে মূলত ইউপিডিএফ ও জেএসএস নামক জঙ্গী সংগঠনের সদস্য হয়ে চাঁদাবাজি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। অভিযুক্ত ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও গ্রামীণ ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন শাখায় মোট ৯টি ব্যাংক হিসাবে তথ্য পাওয়া যায়। যেগুলোতে সে সর্বমোট ১৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকারও বেশি উত্তোলন করে। অর্গানাইজড ক্রাইম সিআইডির এসআই মোঃ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে রাঙ্গামাটি সদর থানায় ১৯ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন।