ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আসাদ বিন সফিক

বিদ্যাপীঠ ও স্বাস্থ্যবিধি

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিদ্যাপীঠ ও স্বাস্থ্যবিধি

শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ অনুসার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন নিয়ম করে ১২ সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা করেছে। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশও রয়েছে। তাই আমাদের সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা প্রতিরোধ করতে হলে তিনটি শর্ত যথার্থ মেনে চলতে হবে। প্রথম শর্ত, মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু আমরা মাস্ক কিনে পকেটে বা থুতনিতে রাখতে পছন্দ করি। এটা নিজের জন্য ক্ষতিকর। অথচ মুখে রাখতে অলসতা করি। করোনার থেকে বাঁচতে হলে সঠিক নিয়ম করে মাস্ক পরতে হবে। গবেষণায় আরও জানায়, মাস্ক পরলে আক্রান্ত না হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। কে আক্রান্ত তা সহজে নির্ণয় করা সম্ভব না। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি মাস্ক না পরে তাহলে ভাইরাস সহজেই ছড়িয়ে পড়বে। ফলে যারা মাস্ক পরবে না তারা আক্রান্ত হবে। যদি সবাই মাস্ক পরে তাহলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। মাস্ক শুধু ভাইরাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধুলাবালি ও দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে হলে মাস্ক অতি জরুরী। ইবনে সিনা বলেছেন, মানুষের ফুসফুসে যদি ধুলাবালি প্রবেশ না করত তাহলে মানুষ হাজার বছর বেঁচে থাকত। তাই স্বাভাবিক জীবনেও মাস্কের গুরুত্ব অপরিসীম। মাস্ক পরা মানে শুধু নিজেকে বাঁচানো না। অপরকেও বাঁচানো। তাই ধরে নিতে পারি মাস্ক পরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দ্বিতীয় শর্ত, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে শিক্ষার্থীদের। পূর্বের তুলনায় অর্থাৎ পূর্বে যদি একটি বেঞ্চে ৬/৭ জন বসত তাহলে এখন বসবে তিনজন। ক্লাস শেষে এক সঙ্গে বের হতে পারবে না। আস্তে আস্তে বের হতে হবে। ধাক্কাধাক্কি করে স্কুল থেকে বের হওয়া এটা নিত্যদিনের ঘটনা। এ রকম করলে সহজেই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। তাই করোনার আক্রান্ত থেকে বাঁচতে হলে ধাক্কাধাক্কি এক সঙ্গে আড্ডা থেকে নিজে সংযত রাখতে হবে। তৃতীয় শর্ত, নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। আমরা জানি জীবাণু হাত থেকে পেটে যায়। তাই জীবাণু থেকে বাঁচতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হাত ধৌত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে। অনেক অভিভাবক আছে কৃপণতা করে বসবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনে দিতে চাইবে না। তাই স্কুল থেকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। স্কুল থেকে ফিরে রাস্তায় অবাধে চলাফেরা করতে পারবে না। ঘর থেকে বের হলে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে নিয়ে বের হতে হবে। যদি কারও জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাস নিতে কষ্ট হলে স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। এ রকম পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষিককে অবগত করতে হবে। করোনার উপসর্গ নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করলে ভাইরাস অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই নিজে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে অন্যকে মানাতে সাহায্য করতে হবে। এক্ষেত্রে অবহেলা করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ হয়ে যাবে। সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ থেকে
×