ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুনর্মিলনী ও শঙ্কা

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

পুনর্মিলনী ও শঙ্কা

দীর্ঘদিন পর অবশেষে খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান! শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে এটা যেন ঈদের চাঁদ দেখার মতো আনন্দ। এক দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সাজতে শুরু করছে নতুন সাজে। অপর দিকে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ছুটছে নতুন ড্রেস থেকে শুরু করে শিক্ষাসামগ্রী ক্রয় করতে। যেন চারদিকে সাজ সাজ রব। অপর দিকে উদ্বেগ প্রকাশ করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ করোনাভাইরাস এখনও পুরোপুরি চলে যায়নি, স্কুল-কলেজে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে ফের করোনা সংক্রমণ যদি বেড়ে যায়! সতর্কতা হিসেবে এমন পরিস্থিতিতে আবার শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি নিতে স্কুল-কলেজগুলোকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন করারসহ মোট ১৯ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইড লাইন। উক্ত গাইডলাইন ও নির্দেশনাপত্র এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত রাখতে দৈনিক ভিত্তিতে মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে একটি মনিটরিং চেকলিস্ট করা হয়। এ চেকলিস্টের তথ্য গুগল ডকসের মাধ্যমে প্রতিদিন বিকেল ৩টার মধ্যে অধিদফতরে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘদিন পর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হওয়া তারা কোলাকুলি থেকে শুরু করে আড্ডায় মেতে ওঠে। এসব বিষয়ে এখন থেকে সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়া ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেয়া। কারো করোনার উপসর্গ দেখা দিলে বা পরিবারের অন্য সদস্যদের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাকে স্কুল-কলেজে পাঠানো থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের। সুতরাং উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনায় আবার মেতে উঠুক আমাদের শিক্ষাঙ্গন। সুন্দর আগামী প্রত্যাশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান অব্যাহত থাকুক। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
×