ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলেও এই ১২টি দেশ যেভাবে নিরাপদ থাকবে

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ৭ জুলাই ২০২৫

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলেও এই ১২টি দেশ যেভাবে নিরাপদ থাকবে

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা, যুদ্ধ ও সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে, তখনও কিছু দেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক হয়ে টিকে আছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান এমন ১২টি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে ভবিষ্যতেও যুদ্ধের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এসব দেশ নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে, বিশ্ব শান্তিসূচকে রয়েছে শীর্ষে এবং সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ জীবনযাত্রার জন্য প্রসিদ্ধ।

 

 

তালিকার শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড, যেটি টানা বিশ্ব শান্তিসূচকের এক নম্বর দেশ। এখানে কোনো সেনাবাহিনী নেই, রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই বললেই চলে, আর অপরাধের হার বিশ্বের সবচেয়ে কম। বরফে মোড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মানবিক পরিবেশ আইসল্যান্ডকে এক অনন্য জীবন্ত স্বর্গে পরিণত করেছে।

সুইজারল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা একটি দেশ, যা বিগত ২০০ বছরের বেশি সময়ে কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি। উন্নত অর্থনীতি, মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য দেশটি নিরাপদ এবং কাঙ্ক্ষিত জীবনধারার প্রতীক।

নিউজিল্যান্ড শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব মিলনস্থল। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা উন্নত। পাশাপাশি সংঘাত ও অপরাধের হার অত্যন্ত কম।

 

 

কানাডা বিশ্বে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অভিবাসনবান্ধব নীতির জন্য পরিচিত। অপরাধের হার কম, জীবনের মান উন্নত এবং সামাজিক নিরাপত্তা শক্তিশালী হওয়ায় এটি বিশ্ব শান্তির অন্যতম নির্ভরযোগ্য দেশ।

ফিনল্যান্ড শুধু শান্তির জন্য নয়, বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশের স্বীকৃতিও পেয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচারে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় এই দেশটি অপরাধহীন জীবনযাপনের জন্য পরিচিত।

নরওয়ে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ও উন্নত অর্থনীতির দেশ। সামাজিক সমতা, মানবাধিকার রক্ষা এবং সংগঠিত জীবনব্যবস্থার জন্য এটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ।

আয়ারল্যান্ড কোনো সামরিক জোটে নেই, বরং নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে শান্তির ধারা অব্যাহত রেখেছে। কম অপরাধ, উন্নত নাগরিক সুবিধা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে এটি বসবাসের জন্য নিরাপদ গন্তব্য।

ডেনমার্ক বিশ্বের অন্যতম শান্তিপূর্ণ ও সুখী দেশ, যেখানে সংঘাতের ঝুঁকি নেই বললেই চলে। সামাজিক নিরাপত্তা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দেশটিকে বিশ্বে অনন্য করে তুলেছে।

পর্তুগাল রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল, অপরাধহীন এবং শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। এখানকার উষ্ণ আবহাওয়া, সমুদ্রতট, সুস্বাদু খাবার ও সাশ্রয়ী জীবনধারা একে বসবাস ও ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় করেছে।

সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ নগররাষ্ট্র। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন ও সুশৃঙ্খল জীবনব্যবস্থা এই শহর-রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের আদর্শ কেন্দ্র বানিয়েছে।

অস্ট্রিয়া শান্তিপূর্ণ জীবনধারার জন্য পরিচিত, যেখানে সামরিক সংঘাতে জড়ানোর হার খুবই কম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য অস্ট্রিয়া আদর্শ জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি।

 

 

তালিকার শেষ দেশ মালটা। ইউরোপের ছোট্ট অথচ নিরাপদ একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা সংঘাতের ইতিহাস নেই বললেই চলে। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া, স্বচ্ছ সমুদ্রজল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মালটাকে জীবনের জন্য আরামদায়ক করে তুলেছে।

এই ১২টি দেশ যুদ্ধ ও বৈশ্বিক সংঘাতের বাইরে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ এবং উন্নত জীবনযাত্রার জন্য বিশেষভাবে বিবেচিত। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক নিরাপত্তা, সুশৃঙ্খল প্রশাসন এবং অপরাধমুক্ত সমাজব্যবস্থা এই দেশগুলোকে ভবিষ্যতের সংকটময় পৃথিবীতে আশার আলো হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে।

ছামিয়া

×