ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশে প্রথম জিইর গ্যাস টারবাইন স্থাপনা শুরু

প্রকাশিত: ২১:২৬, ১ জুন ২০২১

বাংলাদেশে প্রথম জিইর গ্যাস টারবাইন স্থাপনা শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সামিট বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে ঢাকার অদূরে নির্মাণাধীন সামিট মেঘনাঘাট-২ পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পে সামিট নিয়ে এসেছে জিইর সর্বাধুনিক ৯এইচএ.০১ হেভি-ডিউটি গ্যাস টারবাইন। প্রকল্পকাল মাফিক গ্যাস টারবাইনটি প্ল্যান্টের ভিত্তিতে সফলভাবে স্থাপনা করা শুরু হয়েছে, যা ২০২২ সাল নাগাদ চালু হলে দেশের ৭ লাখ গৃহস্থালির বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটাবার সমতুল্য বিদ্যুত উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। সামিট গ্রুপ অফ কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, এখনও মাথাপিছু বিদ্যুত ব্যবহারে বাংলাদেশ ভারতীয়-উপমহাদেশের মধ্যে অনেক পিছিয়ে, যদিও বাংলাদেশের মাথা পিছু জিডিপি বৃদ্ধির হার এই অঞ্চলে সবচাইতে বেশি। সামিট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বেগবানে দেশের মানুষের জন্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিই’র সর্বাধুনিক এইচএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুত উৎপাদন করতে আশাবাদী।’ জিই’র দক্ষিণ এশিয়ার গ্যাস পাওয়ারের সিইও দীপেশ নন্দা বলেন, ‘সবার জন্য বিদ্যুত’ এই জাতীয় লক্ষ্যে বাংলাদেশের সরকার সক্রিয়ভাবে তার কৌশল নতুনভাবে নির্ধারণ ও উপায় সংজ্ঞায়িত করছে। তিনি আরও বলেন, ‘সামিট গ্রুপের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে জিই গর্বিত। আগামীতেও জ্বালানি খাতে বিভিন্ন ধরনের সেবা ও সমাধান প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হওয়ার আকাক্সক্ষার যাত্রায় সকল উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা উত্তরণে সহায়তা করতে আমরা প্রতিশ্রতিবদ্ধ।’ সামিট মেঘনাঘাট-২ প্রকল্পটি বাংলাদেশের বেসরকারী বিদ্যুত খাতের এযাবতকালের সর্ববৃহৎ একক বিনিয়োগ। বাংলাদেশে জিইর একাধিক শক্তিশালী গ্যাস টারবাইন স্থাপনা রয়েছে, যা সম্মিলিতভাবে প্রায় তিন গিগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে সক্ষম। জিই আগামী ২২ বছর পর্যন্ত গ্যাস টারবাইন এবং জেনারেটরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের সেবা প্রদান করবে। সামিট মেঘনাঘাট-২ প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় এগারোশ’রও বেশি শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির বিবেচনায় সামিট এবং জিইর সদস্যরা সকলের নিরাপত্তা এবং জাতীয়, স্থানীয় ও কোম্পানির স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে নিশ্চিত করে সফলতার সঙ্গে গ্যাস টারবাইনটির আগমন এবং সংস্থাপনের কাজ করে চলেছে।
×