ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুল কলেজ খুলছে ৩০ মার্চ

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

স্কুল কলেজ খুলছে ৩০ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ^বিদ্যালয়ের পর এবার স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিল সরকার। আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খোলা হচ্ছে। শনিবার রাতে স্কুল-কলেজ খোলার জন্য পরিবেশ পর্যালোচনায় আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ৩০ মার্চ স্কুল খোলার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, প্রাক-প্রাথমিকের ছুটি অব্যাহত থাকবে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রতিষ্ঠান ৩০ মার্চ থেকেই খোলা হবে। মন্ত্রী বলেছেন, পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা হবে। পঞ্চম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিদিন হবে। আর অন্যন্য শ্রেণীর ক্লাস প্রথমে সপ্তাহে একদিন হবে। পরে তা দুদিন হবে। আর পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। আর প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ক্লাস শুরু হলেও প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর ক্লাস শুরু হচ্ছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিশুদের এ শ্রেণীর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে এ সভায় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জননিরাপত্তা সচিব এবং পুলিশের আইজিপি সভায় উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ছুটি ছিল আজ রবিবার পর্যন্ত। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল-কলেজ খোলা হবে কি না এবং সেই পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কি না, তা পর্যালোচনা করার জন্যই শনিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়। সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ পর্যালোচনা করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি আরও বলেন, দীপু মনি বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা আগামী মার্চ মাসের ৩০ তারিখ থেকে খুলে দেব। সেখানে আমরা আগেও যেভাবে বলেছি যে, হয়তো পর্যায়ক্রমে, একদম প্রথমে প্রাথমিকে যারা পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত, তারা হয়তো প্রতিদিনই আসবেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দশম ও দ্বাদশ প্রতিদিন আনব। বাকিগুলো হয়তো প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, তারপর থেকে সপ্তাহে দুদিন করে আসবে। তারপর পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব। প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় আপাতত খুলছে না। মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা ৩০ মার্চের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকার আওতায় নিয়ে আসব। তবে রোজার ছুটি রোজা জুড়ে থাকবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, রোজায়ও ক্লাস থাকবে। শুধু ঈদের সময় বন্ধ থাকবে। আমরা মনি করি এবার রোজার সময় কারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে আপত্তি থাকবে না। রোজার সময় পুরো সময়ে ছুটি থাকবে না। এমনিতেই অনেক সময় চলে গেছে। আমরাও ছোটবেলায় দেখেছি শুধু ঈদের সময় ছুটি থাকত। এবারও আমরা তেমনটা করতে চাই। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলি এরপর ৬০ কর্মদিবস ক্লাস হয়েই এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত মঙ্গলবার এক সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী আগামী ২৪ মে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। মন্ত্রী জানান, করোনার ছোবলে দীর্ঘ বন্ধ শেষে আগামী ঈদ-উল-ফিতরের পর ২৪ মে খুলবে দেশের সকল বিশ^বিদ্যালয়। তার এক সপ্তাহ আগে ১৭ মে থেকে খুলে দেয়া হবে আবাসিক হল। লাগাতার বন্ধে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় হলগুলো সংস্কার করা হবে ১৭ মের মধ্যেই। তবে হলের ওঠার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকা নিতে হবে। অন্যথায় হলে প্রবেশ করা যাবে না। ১৭ মের মধ্যে স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের টিকা নিতে হবে।
×