ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শীত থাকবে

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৭ জানুয়ারি ২০২১

ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শীত থাকবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এবার কম বেশি শীত থাকছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দেশে কিছু অঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারি শেষের দিকে আরও একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এর জেরে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শীতের অনুভূতি থাকতে পারে। এর পর আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়বে। প্রকৃতিতে আসবে বসন্তের ছোঁয়া। এদিকে চতুর্থ দফায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতের ওঠানামা চলছে। গত শনিবার ররিবার এই মৌসুমর সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূতি হয়েছে। এরপর সোমবার এক দফায় তাপমাত্রা বেড়ে শীতে অনুভূতি কমে যায়। কিন্তু একদিনের ব্যবধানের মঙ্গলবার থেকে শীতের মাত্রা বেড়েছে ঢের। একদিনের ব্যবধানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ৪ ডিগ্রী নেমে গেছে। এদিন শ্রীমঙ্গলে দেশে সর্বনিম্ন ৮.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। হিসেবে তাপমাত্রা বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি বেড়েছে অনেক। আবহাওয়াবিদরা জানান শৈত্যপ্রবাহের পাশিাপাশি আকাশ আংশিক মেঘলা এবং ঘন কুয়াশায় সূর্যের মুখ না দেখা যাওয়ার কারণেই মূলত শীতের অনুভূতি বাড়ছে। এদিকে মঙ্গলবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সেখাসে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল থেকে রাজধানীতে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও কিছুটা মেঘলা আকাশ আর ঘন কুয়াশায় রোদের তীব্রতা ছিল বেশ ম্রিয়মান। ফলে এদিন সকাল থেকে রাজধানীতে শীতের অনুভূতি ছিল বেশি। এদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশি, কিছু জেলায় শীতের কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। মৌলভীবাজার থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান শীতে কাঁপছে মৌলভীবাজার। জেলার উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে পুরো জেলা। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ছিন্নমূল ও দিনমজুররা পড়েছেন সীমাহীন কষ্টে। সাধারণ মানুষের জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেই ঘর থেকে বাহির হচ্ছেন না। কন কনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি হাওরপাড় ও চা বাগান এলাকার শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তিতে পরেছেন। দিনে ও রাতে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকেই। ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে দেখা গেছে। জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতে শীতজনিত রোগ সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, তাপমাত্রা কমে গেলে ও ঘন কুয়াশা থাকায় বোরো ধান চাষাবাদে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় বীজ তলায় চারা গজাতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়াও ঘন কুয়াশা দীর্ঘদিন থাকলে ধানে চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
×