ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সবার আগে চাই জনসচেতনতা ॥ মোস্তাফা জব্বার

ইন্টারনেট নিরাপদ করার নানা উদ্যোগ

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

ইন্টারনেট নিরাপদ করার নানা উদ্যোগ

ফিরোজ মান্না ॥ ডিজিটাল সুরক্ষা তৈরি করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ডিজিটাল ডিভাইস সুরক্ষা, সফটওয়্যার নিরাপত্তা, সব ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক সুরক্ষা, ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা, ই-মেল ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সতর্ক থাকার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এসব বিষয় নিরাপদ রাখার জন্য বিটিআরসির পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ অধিদফতর, পুলিশসহ সরকারের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ ইন্টারনেটের সব ক্ষেত্রে নজর রাখছে। এতদিন সারাদেশে ইন্টারনেট দেয়ার কাজ করা হয়েছে। এখন এটাকে নিরাপদ করতে হবে। প্রতিটি মানুষ যাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে তার জন্য দামও কমানো হয়েছে। কিন্তু ইন্টারনেট নিরাপদ রাখার বিষয়ে নজর দেয়া হয়নি। এখন ইন্টারনেটকে নিরাপদ করার বেশ কিছু কাজও চলছে। ফেসবুক নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন করার চিন্তা করছে সরকার। তবে সবার আগে জনসচেতনতা বেশি প্রয়োজন। বিশেষ করে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী জনকণ্ঠকে বলেন, ইন্টারনেট ও সার্ভার সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে সতর্ক না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের কলাকৌশল না জেনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে অনলাইন সিস্টেম, ডিজিটাল ডিভাইস ও এতে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বিভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে। ডিজিটাল ডিভাইস ও তথ্য সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে নিরাপদ ইন্টারনেট থাকতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে ইন্টারনেটকে নিরাপদ করার নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। টেলিযোগাযোগ অধিদফতর ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন এ্যান্ড রেসপন্স’ প্রকল্পের মাধ্যমে ইন্টারনেটসহ সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমকে নিরাপদ করা হচ্ছে। বিটিআরসি, পুলিশসহ সরকারের বেশ কয়েকটি দফতর কাজ করে যাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে পর্ন সাইটসহ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। গুজব ছড়ানো অনেকাংশে বন্ধ হয়ে গেছে। ইন্টারনেট একদিকে যেমন সুফল বয়ে আনে অন্যদিকে বিপর্যয়ও ডেকে আনছে। যাতে দেশে কোন সাইবার নৈরাজ্য তৈরি না হয় তার জন্য টেলিযোগাযোগ অধিদফতরের ‘সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স প্রকল্প’ বড় ধরনের কাজ করছে। ডিজিটাল সুরক্ষা না থাকলে যে কোন সময় বিপর্যয় ঘটতে পারে। মন্ত্রী ২০১৮ সালে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি সময়োপযোগী আইন উল্লেখ করে বলেন, সিঙ্গাপুরসহ ইউরোপের কিছু দেশ ডিজিটাল অপরাধ প্রতিহত করতে অনেক অনেক শক্ত আইন প্রণয়ন করেছে। ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে সাইবার থ্রেট ডিটেকশন ও রেসপন্স প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জন করেছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিগত দিনে সীমিত সামর্থ্য দিয়েও তারা যে কাজ করেছে-উন্নত বিশ্বেও তা পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট না হলে কী পরিমাণ সাইবার নৈরাজ্য হতো তা কল্পনাও করা যায় না। ইন্টারনেট হচ্ছে জ্ঞানভাণ্ডার, শিক্ষার্থীরা সারাদিন ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তাতে আপত্তি নেই, তবে ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সতর্ক থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা মেইল এ্যাকাউন্ট দুই স্তরের ভেরিফিকেশন্স ব্যবহার করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে পারলে কেউ এ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে না। ডিজিটাল দুনিয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ।
×