ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে কিছুতেই থামছেনা মা ইলিশ শিকার

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ২৯ অক্টোবর ২০২০

শরীয়তপুরে কিছুতেই থামছেনা মা ইলিশ শিকার

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর ॥ ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা মা ইলিশ শিকার। জেল জরিমানা উপেক্ষা করে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে যেন হামলে পড়েছে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৪ উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুর পযর্ন্ত ১৫দিনে প্রশাসনের সহায়তায় জেলা মৎস্য বিভাগ নদীতে ১শ’ ৫৩টি অভিযান পরিচালনা করে। এতে ১শ’ ২টি ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯শ’ ৭৩জন জেলেকে ৩ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ৪৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯শ’ মিটার মাছ ধরার জাল ও ৪শ’ ৯০টি ট্রলার জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৭টি স্পীডবোট ও ১টি মোটরসাইকেল। ১ হাজার ২শ’ ৬২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোট জরিমানা করা হয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫শ’ টাকা। ৩ হাজার ১শ’ ৯৬ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে তা বিভিন্ন এতিমখানায় বন্টন করা হয়েছে। এতো কিছুর পরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলা ও জেলার বাইরের মৌসুমী জেলেরা রাত-দিন শিকার করে চলেছে মা ইলিশ। মা ইলিশ রক্ষায় জাজিরা উপজেলার বিলাশপুরে পদ্মা নদীর তীরে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করার পরেও সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে অসাধু জেলেরা দিন-রাত নদীতে নামছে মাছ শিকারে। জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে ১৪ অক্টোবর প্রথম প্রহর (১৩ অক্টোবর রাত ১২টার পর) থেকে। আগামী ৪ নবেম্বর পর্যন্ত ২২দিন থাকবে মৌসুমের মেয়াদ। ২২ দিনই চলবে নদীতে প্রশাসনের মা ইলিশ শিকার প্রতিরোধ অভিযান। মৌসুমের প্রথম দিন থেকেই প্রশাসন আটক করে চলেছে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী জেলেদের। শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, জেলার জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ এবং গোসাইরহাট উপজেলার ১৯ হাজার জেলেকে ২০ কেজি করে মোট ৩শ’ ৮০ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দেয়া হয়েছে। তারপরেও অনেক জেলে আইন অমান্য করে মাছ ধরতে নদীতে নামছে। শুধু শরীয়তপুর জেলারই নয়, বাইরের জেলার অনেক জেলেও আমাদের জেলার নৌ সীমানায় প্রবেশ করে মা ইলিশ শিকারের সময় আটক হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সহায়তায় বাকি দিনগুলোও অভিযান অব্যাহত রাখবো।
×