ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কবি আজীজুল হক ও তাঁর কবিতা

প্রকাশিত: ২১:১৯, ২১ আগস্ট ২০২০

কবি আজীজুল হক ও তাঁর কবিতা

তুয়া নূর কবি আজীজুল হক (২ মার্চ, ১৯৩০-২৭ আগস্ট, ২০০১) বাংলা সাহিত্যের বিরলপ্রজ, অন্তর্মুখী কবিসত্তা। সুবক্তা ও সফল সংগঠক এই শিক্ষক-কবি জনকোলাহল থেকে বহদূরে নিজস্ব সৃষ্টিশীলতার জগতে নিয়ত যাপন করেছেন। বিশ শতকের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বৈশ্বিক ও দেশীয় রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেক্ষাপটে জন্ম ও বেড়ে ওঠা কবি আজীজুল হকের কবিচৈতন্যে সমাজ ও সময়ের মানুষ দ্বন্দ্বময় সূত্রে অস্তিত্বমান। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা মাত্র ৩টি। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝিনুক মুহূর্ত সূর্যকে’, দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বিনষ্টের চিৎকার’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ঘুম ও সোনালি ঈগল’ ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর কাব্যসমগ্র ‘আজীজুল হকের কবিতা’ প্রকাশিত হয়। সৃষ্টিশীলতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৮৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ** স্মৃতিগন্ধা আজীজুল হক সকালে আসবে কথা ছিল, এলে তো সন্ধ্যায়। এসেই বললে, চলো আরও কিছু ছায়ার ভিতর, যাই আরও কিছু নৈঃশব্দের কাছে, গিয়ে কিছুক্ষণ বসি পাশাপাশি, আমরা তো এখনো কেউ অ-শরীরী নই বিস্ময় সমস্ত তার প্রাচীনতা নিয়ে এইভাবে এর আগে আসেনি কখনো। ইচ্ছা ছিল বলি, জানো না তুমি, কী দারুণ পিপাসা নিয়ে আলো ও শব্দের সারাক্ষণ বসে আছি। বিকেল গড়িয়ে তার প্রান্তে চলে গেলে সবুজ মোমের আলো কিছুক্ষণ জ্বলেছিল ঝাউয়ের মাথায়। কলকণ্ঠ পাখির পালক করতলে এই দ্যাখো এখনো রয়েছে। ইচ্ছে ছিল বলি, হে রমণী, তুমি কেন এ রকম সময় স্খলিতা? বলিনি। কেননা বনতর ছায়ার গভীরে তুমি ততক্ষণে দ্রুত গেঁথে গেছো। ততক্ষণে তুমি আলোহীন শব্দহীন নীলাভ আঁধারে জ্বালিয়েছো বিনগ্ন শুভ্রতা। ততক্ষণে মৃদু রজনীগন্ধার ঘ্রাণে তুমি এক সুতনু স্মৃতির।
×