ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এম এ কাদের

শুধু করোনা নয়, সমগ্র চিকিৎসা ব্যবস্থায় মনোযোগ দরকার

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২৮ জুন ২০২০

শুধু করোনা নয়, সমগ্র চিকিৎসা ব্যবস্থায় মনোযোগ দরকার

মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অধিক গুরুত্ব বহন করে। প্রতিটি মানুষের সঠিক চিকিৎসা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার। দেশের প্রতিটি নাগরিককে সঠিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। এক্ষেত্রে গড়িমসি করার কোন সুযোগ নেই। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন হতে পারে। দেশে করোনা ভাইরাস ৮ মার্চ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দিন যতই যাচ্ছে আক্রান্তের হার ততই বেশি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে গরিব দেশ হিসেবে আমরা সামাল দিতে পারব কিনা এ নিয়ে সংশয় আছে। কাজেই সংক্রমণ আর যাতে না বাড়ে, সেদিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া দরকার। করোনা আমাদের দেখিয়ে দিল দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা কত দুর্বল। কোন কোন সময় সাধারণ রোগী পর্যন্ত করোনা সন্দেহে চিকিৎসা না পেয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ছোটাছুটি করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। টেলিভিশনে দেখেছি, দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি হাসপাতালের সামনে অসুস্থ স্বামীকে ভ্যানের ওপর রেখে স্ত্রীর আহাজারি, করোনা সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছি, একই পরিবারের সবাই করোনাই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী-সন্তানের সামনে আপনজন ভেন্টিলেশনের অভাবে ছটফট করে মারা যেতে। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা সন্দেহে জরুরী চিকিৎসা সমূহ যেমন : হার্টএ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি, ডায়রিয়া, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই সমস্ত অবহেলার কারণে এই সমস্ত জরুরী রোগী ও অভিভাবকরা হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করায়, বিনা চিকিৎসায় অনেকেই বাড়িতেই মৃত্যু বরণ করছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা, ইতোমধ্যে মন্ত্রীসহ উর্ধতন বেশ কয়েক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তা ছাড়া এ পর্যন্ত সারাদেশে বেশ কয়েকজন বিচারক, এমপি করোনা আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি এস আলম গ্রুপের পরিচালক, ৫টি ব্যাংকসহ ৩৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক মোরশেদুল আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১টি ভেন্টিলেশনের অভাবে পরিবারের সকলের সামনে করুণ মৃত্যু বরণ করেন। দেশে অনেক শিল্পপতি, আমলা, জনপ্রতিনিধি আছেন, যাদের সাধারণ জ্বর-কাশিতে চিকিৎসা ও চেকআপের জন্য বিদেশে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে আসেন। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও মোরশেদুল আলম সাহেবকে সামান্য ১টি ভেন্টিলেশনের জন্য মারা যেতে হবে এটা কল্পনার অতীত। এর থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত শুধু সরকার নয়, সমাজের বিত্তবানরা চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে খেয়াল করলে হাজার হাজার ভেন্টিলেটর আইসিইউ সংযুক্ত হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব ছিল, এতে নিজেদের স্বাস্থা সুরক্ষাসহ দেশের মানুষ উপকৃত হতো। দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করে শিক্ষা ও চিকিৎসা। স্পর্শকাতর এ দুটি বিষয়কে কোনভাবেই অবহেলা করার সুযোগ নেই, কিন্তু দুর্নীতি অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এই দুটি বিষয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে চিকিৎসা খাতে বাজেট ছিল ২৫ হাজার ৭শ’ ৩২ কোটি টাকা। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি আস্থা না থাকার কারণে মানুষ জীবন বাঁচানোর তাগিদে, অনেক কষ্ট ও ব্যয়বহুল হলেও সঠিক চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে বাধ্য হচ্ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশে করোনা সংক্রমণের পূর্ব পর্যন্ত আমাদের দেশ থেকে প্রতিদিন শুধু ভারতে ৮ থেকে ১০ হাজার লোক যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক লোকই চিকিৎসার জন্যই ভারতে গিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ধনী, উচ্চবিত্তরা পৃথিবীর উন্নত দেশে যেমন- সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ইংল্যান্ড, আমেরিকায়, চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য গিয়ে থাকেন। ভারতে চিকিৎসা করতে যাওয়া এ সমস্ত রোগী সম্পর্কে জানা যায়, দেশে সঠিক রোগ নির্ণয় না হওয়া, চিকিৎসকদের রোগী দেখার ক্ষেত্রে অমনোযোগী, দুর্ব্যবহার, কম সময় দেয়া, রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অহেতুক অধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া, ডাক্তারের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো, এসব নানা কারণে দেশে চিকিৎসার ওপর আস্থা না থাকায় রোগীরা অধিক হারে বিদেশে সঠিক চিকিৎসার জন্য যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়া অনেক সময় ভুল চিকিৎসার কারণে জীবন বাঁচানোর জন্য তারা ভারতে যাচ্ছেন। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য কোটি কোটি টাকা বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থার অভাব শুধু সাধারণ রোগীদেরই নয়, উর্র্ধতন কর্মকর্তা, সরকারী আমলা ছাড়াও এমপি-মন্ত্রীদের এ অনাস্থার কারণেই তারা বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রায় গিয়ে থাকেন। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর আস্থা না থাকার কারণ, প্রয়োজনীয় দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি না হওয়া, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বল্পতা, মেধাবী চিকিৎসকদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করা, কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে জরুরী রোগী দেখানোর ক্ষেত্রে অধিক সিরিয়াল। বেশিরভাগ নির্ভুল রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে অন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে মিল না থাকা। টেকনিশিয়ান এর অভাব, প্রয়োজনীয় ডাক্তারের স্বল্পতা, ডাক্তারদের বাসা ও চেম্বারের অভাব, নিরাপত্তার অভাব। এ ছাড়া প্রভাবশালীদের প্রভাবের কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অনেক পিছিয়ে রেখেছে। দেশে প্রতি বছর ৩৬টি সরকারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৪ হাজার ৬৮ জন ও প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৬ হাজার ২৩৩ জন অর্থাৎ ১০ হাজার ২৯৯ জন কম-বেশি ডাক্তার বেরিয়ে থাকেন অথচ হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারের সঙ্কট প্রায় লেগেই থাকে। এতে করে প্রতি উপজেলায় ৩-৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা ডাক্তারের স্বল্পতায় ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। অথচ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো চিকিৎসার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। গ্রীসে ২২৮ জনে ১ জন ডাক্তার, স্পেনে ২০০ জনে ১ জন ডাক্তার, অস্ট্রেলিয়ায় ২৯৫ জনে ১ জন ডাক্তার, ফ্রান্সে ২৯৬ জনে ১ জন ডাক্তার, আমেরিকায় ২৭৮ জনে ১ জন ডাক্তার সেবা দিয়ে থাকেন। সেখানে উগউঈ-এর ১৯১৮ সালের তথ্য মতে, আমাদের দেশে মোট ডাক্তারের হিসাবে ১৮৪৭ জনে ১ জন ডাক্তার নিয়োজিত আছে। প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০-২৫ জন ডাক্তারের বসার জায়গার ও আবাসিক (থাকার জায়গা) সঙ্কট রয়েছে। সমাজের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ডাক্তারীর মতো এই মহৎ পেশায় মানুষের সেবা দেয়ার জন্য নিযুক্ত থাকেন, কিন্তু এদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। বেশিরভাগ হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে অপরিষ্কার এবং দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালগুলো নিজেরাই রোগী হয়ে আছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব, কিছু কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ডিগ্রী নেয়ার ক্ষেত্রে আসন একেবারেই কম। তা ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করার কারণে বেশিরভাগ চিকিৎসক দেশের বাইরে চলে যায়, ফলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিকিৎসকের স্বল্পতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উপজেলা শহরগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পোস্ট থাকলেও অধিকাংশ হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই বললেই চলে। ভুল রোগ নির্ণয়, ভুল অপারেশন ও ওষুধের দাম অধিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীরা দেশের চিকিৎসার ওপর বিমুখ হচ্ছে। তবে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর বর্তমান সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও নজরদারির কারণে ইদানীং আমরা অনেক সুফলও পাচ্ছি। গত কয়েক বছর আগে হার্টের চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশে ভাল না থাকায় অধিকাংশ রোগী মারা যেত। শুধু ধনী সামর্থ্যবানরা বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারত কিন্তু ইদানীং সরকারের সঠিক পরিকল্পনার কারণে আমাদের দেশে স্বল্প খরচে অনেক ভাল নির্ভুল চিকিৎসা হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক মানের নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগে হাসপাতাল তৈরি হওয়ায় আমরা তার সুফল ভোগ করছি। তা ছাড়া ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই আন্তর্জাতিক মানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এখানে সর্বপ্রকার জটিল রোগের অপারেশন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশের জনগণের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা অধিক গুরুত্ব বহন করে এবং বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় সরকারকে অবশ্যই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে নিরপেক্ষতার সঙ্গে দুর্নীতি দমন করে চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে সবচেয়ে মেধাবীরাই ডাক্তারীর মতো মহৎ পেশায় সেবা দিয়ে থাকেন। এ কারণে তাদের অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। সমাজে তাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা, বেতনসহ সর্বপ্রকার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যোগ্য ডাক্তারদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন হলে মেধাবী ডাক্তারদের বিদেশে যাওয়া বন্ধ হবে এবং দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নয়ন ঘটবে, এতে দেশের জনগণের চিকিৎসার প্রতি আস্থা ফিরে এলে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বন্ধ হবে, ফলে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়, পুরনো জেলা শহর পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে। বর্তমানে দেশে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে, প্রচুর মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় বেশিরভাগ রোগী মারা যাচ্ছে। অন্তত প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) চালু থাকলে বেশিরভাগ রোগী বাঁচানো সম্ভব হবে। হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার সরবরাহের ধারাবাহিকতা থাকতে হবে। কোন সময় ২০ জন, আবার কোন সময় ৪ জন থাকলে চিকিৎসার বিঘ্ন ঘটবে, এতে মানুষের আস্থা হারাবে। উপজেলা শহরগুলোতে ডাক্তারের পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার সঙ্গে পোস্টিং দিতে হবে। ডাক্তারদের ডিউটির ক্ষেত্রে সেবামূলক মনোভাব ও আন্তরিকতা থাকতে হবে। ডাক্তারদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল, যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসকের ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য বাজেটে চিকিৎসা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে, এতে করে দেশ উন্নয়নের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। তা ছাড়া দেশে সঠিক চিকিৎসা পেলে, অধিক ব্যয়ে, অনেক কষ্টে দুঃসময়ে আপনজন ছাড়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে নির্ভরযোগ্য চিকিৎসায় বিশ্বাস সৃষ্টি হলে আশপাশের দেশ থেকে রোগী এ দেশে চিকিৎসা নিতে আসবে, এতে করে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, অনেক বেকার সমস্যা দূর হবে ও অধিক হারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হবে। দেশের মানুষের সকল চিকিৎসা দেশেই হলে, কষ্ট লাঘব হবে, কম টাকায় চিকিৎসা পাবে, ও দুঃসময়ে আপনজন কাছে থাকবে, এতে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা আরও বেড়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মতো বিপর্যয় মোকাবেলা করা সহজ হবে। চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য শুধু সরকার নয়, দেশের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েও সামান্য একটি ভেন্টিলেটরের জন্য আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হবে না। লেখক : সাংবাদিক [email protected]
×