ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৮৬৮

প্রকাশিত: ২২:১৯, ২৭ জুন ২০২০

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৮৬৮

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪০ জনের মৃত্যু এবং ৩৮৬৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১৬৬১ এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১৬৩৮ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৫৩ হাজার ১৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৪৯৮টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪১ট। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। শুক্রবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪০ জনের মধ্যে নারী ৯ জন এবং পুরুষ ৩১ জন। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়-১ থেকে ১০ বছরের ১ জন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী ৩ জন, চল্লিশ বছরের বেশি বয়সী ৬ জন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ১২ জন, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১৪ জন, ৭০ বছরের বেশি বয়সী ৩ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ১ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের, বরিশাল বিভাগের ৪ জন ও রংপুরে বিভাগের ৩ জন রয়েছেন। যে ৪০ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩১ জন হাসপাতালে এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে চার জন করে এবং সিলেট ও রংপুর বিভাগে তিন জন করে রয়েছেন। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে ১৬টি এবং মহানগরীর বাইরে ঢাকা জেলায় একটি। ঢাকা মহানগরে কোভিড রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা ছয় হাজার ৭৭৩ এবং আইসিইউ বেড রয়েছে ১৮০টি। রোগী ভর্তি রয়েছেন দুই হাজার ৩৭৫ জন এবং আইসিইউতে রোগী রয়েছেন ৯৭ জন। সব বিভাগ মিলিয়ে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৬১০টি এবং আইসিইউ রয়েছে ৩৭৯টি। সব বিভাগে রোগী ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৬৯১ জন, আর আইসিইউতে রয়েছেন ১৮৩ জন। সব হাসপাতালেই রোগী ভর্তি হতে পারবেন কারণ অনেক শয্যা খালি রয়েছে। সব হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে মোট ১০ হাজার ২৪০টি, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা ৮০টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৫৫টি। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, লিঙ্গ ভেদে শনাক্তের হার পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ১ থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃতের হার দশমিক ৮২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১.৪৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩.৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮.২৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭.৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সীদের ২৯.৬২ শতাংশ এবং ৬১ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার ৩৮.৯৯ শতাংশ।
×