ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

করোনার বাইরে ভাববার সুযোগ কোথায়?

প্রকাশিত: ২১:১৩, ২৭ জুন ২০২০

করোনার বাইরে ভাববার সুযোগ কোথায়?

প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট ভাষাসৈনিক শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন লিখতে বসলে করোনার বাইরে ভাববার কোন সুযোগ নেই। পরিস্থিতিটাই এমন। পরিস্থিতি যেভাবে দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে করে অন্য কিছু ভাববার কোন সুযোগ নেই। কিছু লিখতে হলে করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে লিখতে হবে। করোনার প্রতিরোধক প্রতিষেধক কোনটাই এখন পর্যন্ত কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। কিন্তু জীবিকাকে তো আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে শুইয়ে রাখা যাবে না। এ যে করোনা হোক বা না হোক মানুষের বেঁচে থাকা না থাকার সঙ্গে সম্পর্ক। একটা কথাই তো আছে পেটে খেলে পিঠে সয়। তাই পেটে খাবার জন্য মানুষের জীবিকার ক্ষেত্রগুলোকে আইসোলেশন থেকে বের করে সচল করতে হবে। নইলে করোনার চেয়েও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে মানুষের ক্ষুধা। কেবল ক্ষুধা নয় বনেবাদাড়ে জীব-বৈচিত্র নিঃশেষ হতে হতে প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাবে নতুন কোন আসমানী বালার জন্ম নেবে। কোভিড-১৯ বা করোনার সংক্রমণের ১০০ দিন চলে গেছে। এই ১০০ দিনে কেবল বাংলাদেশেই দেড় হাজারের অধিক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এটা বিভিন্ন হাসপাতালের রেকর্ডের হিসেব। রেকর্ডের বাইরে অর্থাৎ যারা হাসপাতালে যাননি বা গিয়েও জায়গা পাননি ঘরে বসে কাতরাতে কাতরাতে মারা গেছেন তাদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে মনে করা যায়। সর্দি-কাশিতে মারা যাচ্ছে, জ্বরে মারা যাচ্ছে, অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে, হার্ট এ্যাটাকে মারা যাচ্ছে, ব্রেন স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে সেগুলো তো হিসেবে ধরা হচ্ছে না। যত নামই দেয়া হোক এসবও কোভিড-১৯ বা করোনার শিকার সেটি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। সরকারী বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবটিও হেলা করার নয় : * বাংলাদেশ : মৃত্যু-১৫৮২ শনাক্ত ১,২২,৬৬০ * বিশ্ব : মৃত্যু-৪,৮২,০৯৭ শনাক্ত ৯৪,৪১,৯১২ হিসেবটি গত বৃহস্পতিবার বা ২৫ জুন ২০২০ এর। তবে এই হিসেব বা পরিস্থিতি (আগেই বলেছি) অফিসিয়াল। এই হিসেবেও বাংলাদেশে বেশ ক’জন বুদ্ধিজীবী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। যেমন আমার স্যার শ্রদ্ধেয় প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী সাংবাদিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী (বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয় প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক যে প্রতিবাদী কার্যক্রম আমরা চালিয়েছি তার অন্যতম পরামর্শক ও অভিভাবক) এরা মুক্তিযুদ্ধেও বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করেছেন। লড়াই করেছেন সকল অনাচার অবিচার সাম্প্রদায়িকতা দুর্নীতি ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে। জীবনভর। মুক্তিযোদ্ধা রাজনৈতিক মোহাম্মদ নাসিম বদরুদ্দিন আহমদ কামরান শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চলে গেলেন এমন একটা সময়ে যখন তারা ধীসম্পন্ন মানবিক প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কোভিড-১৯ বিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারির সৈনিক ছিলেন। এমনি সৈনিক সারাদেশে আরও অনেক চলে গেছেন। সপরিবারে আক্রান্ত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ৬ জনের ওপর। এমপি সাংবাদিক কলামিস্ট আবেদ খান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ঘরে ঘরে যার নাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের দ্রুত সুস্থ করে তুলুন এই দোয়া করি। টেলিফোনে খবর নিয়েছিলাম বন্ধু সহকর্মী আবেদ খানের। আবেদ বলেছিল সে ভাল হয়ে গেছে তবে আরও কয়েকদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। কিন্তু গত ২৫ জুনের কাগজে দেখলাম আবেদের অবস্থার অবনতি। গত সোমবার থেকে জ্বরের সঙ্গে পুনরায় শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা রক্তের তারল্য কমে যাওয়ায় অবনতি ঘটে। তবে এখনো হোমকোয়ারেন্টাইনে আছেন। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার টেলিফোনে খোঁজ নিয়েছিলাম তিন দিন আগে। বলেছেন ভাল আছেন। আমি জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর বন্যাকে প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দাওয়াত করে নিয়ে এসেছিলাম। বন্যার সঙ্গে সেদিন আরও ছিলেন তরুণ সঙ্গীতজ্ঞ বাপ্পা মজুমদার ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফেরদৌস আরা। বন্যা সবাইকে নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি সম্ভবত এখন সঠিক মনে পড়ছে না দুটি গান গেয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি আনন্দ লোকে মঙ্গল আলোকে বিরাজ সত্য সুন্দর। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। তবে সেদিন বন্যা একটি দুঃখের কথা বলেছিলেন যে ৩৬ বছর পর সভাপতি শফিক ভাই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বলে এসেছি। কারণ প্রায় ২৯ বছর প্রেসক্লাবের ম্যানেজমেন্টে ছিল বিএনপি-জামায়াত রাজাকার-আলবদর। রুচির দিক থেকেও তারা নিম্নমানের শিল্পীও আমন্ত্রণ করতেন তেমনই। যেসব শিল্পী তখন আনা হতো তাদের গান শোনার জন্য নয় দেখার জন্য আনা হতো। করোনার ভিকটিমদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ডাক্তার আর পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। তাদের ডিউটিতে থাকা অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাপী করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও একশ্রেণীর লোক আছে যাদের কারও চেহারা মোল্লাদের মত কিছু আছে ক্লিন শেভড। তারা দেখলাম ইউটিউবে ভীষণ খুশি। মোল্লা চেহারার একজন তো বলেই ফেললেন মোহাম্মদ নাসিম কোমায় যাবার মধ্যে আওয়ামী লীগের ওপর থাবা শুরু হয়েছে। ক্লিন শেভড একজন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর সঙ্গে রাজাকার সাকা চৌধুরীর ফাঁসিতে মৃত্যু এবং দাফনের পর মানুষের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছিল। এরপর তাদের চিনতে খুব কি কষ্ট হবে। কেউ দাবি করেন বিশেষ করে জামায়াত রাজাকারের ছেলে তাদের তো তখন জন্মই হয়নি তারা রাজাকার হলেন কিভাবে? হ্যাঁ একথার পেছনে যুক্তি আছে। যাদের জন্ম ’৭১-এর পর তাদের রাজাকার বলার কথা নয় কিন্তু রাজাকার বা জামায়াত শিবির যে আদর্শ বা ধারণায় বিশ্বাসী সেই আদর্শ বা ধারণা যারা বিশ্বাস করেন এবং ধারণ করেন তারা অবশ্যই রাজাকার-আলবদর তথা জামায়াত-শিবির। সোশ্যাল মিডিয়ায় আরেকটি বিষয় দেখা যায়। একজন নারী এবং নারীদের সম্পর্কে কথা বলা ঠিক না হলেও কিছু কিছু ইস্যু আছে বলতেই হবে। এই নারী ছিলেন একজন হিন্দু, এক টাকা আনা ব্যবসার মালিক মুসলমানকে বিয়ে করেন মুসলমান হয়ে। এই ভাবে তার তথাকথিত মুসলিম স্বামীর নিউইয়র্কের বড় ব্যবসা নিজের নামে নিয়ে দখল করে তাকে তালাক দিয়ে এখন না হিন্দু না মুসলিম -হিজড়া। এই নারী প্রতিনিয়ত জামায়াত-শিবিরের পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে থাকেন। দুই হাত নাড়িয়ে নাচিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা নোংরা বিষোদগার করতে থাকেন। ওর চেহারা সুরত প্রায় সেফুদার মতোই। তবে সেফুদা থাকেন ভিয়েনায় আর এই নারী থাকেন সম্ভবত নিউইয়র্কে। এদের মধ্যে সামান্যতম বিবেক থাকলে একটা প্রশ্ন করতে চাই জাতির পিতার নেতৃত্বে মোহাম্মদ নাসিম কামরান একাত্তরের যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন না করলে কি এভাবে কথা বলতে পারত। প্রশ্নই ওঠে না পাকিস্তানী মিলিটারি জান্তার বুটের লাথিতে বাপবাপ বলে ক্ষমা চাইতে হতো। যাকগে ইতর শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা বেশি নয় ভাল দেশপ্রেমিক জনগণের সংখ্যা অনেক বেশি। দু’চারটা শিবির হিজড়ার কথায় কী আসে যায়? - এখন কোভিড বা করোনা থেকে মুক্তিই বড় কথা - এর সঙ্গে জীবন জড়িত - এর সঙ্গে জীবিকা জড়িত -এর সঙ্গে মানুষের মুখে অন্ন জোগাড় জড়িত - এর সঙ্গে উৎপাদন জড়িত - এর সঙ্গে কৃষক জড়িত - এর সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষ জড়িত - এর সঙ্গে জাতির ভবিষ্যত শিশু-কিশোরদের জীবন ও শিক্ষা জড়িত - এর সঙ্গে বিদেশে জব অপরচ্যুনিটি জড়িত - এর সঙ্গে শিল্পায়নের প্রসার জড়িত - এর সঙ্গে জিডিপি জড়িত - এর সঙ্গে মাথাপিছু আয় জড়িত -এর সঙ্গে শিল্পায়ন জড়িত - এর সঙ্গে পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো জড়িত - এর সঙ্গে মধ্যম আয়ের থেকে উন্নত অর্থনীতিতে উত্তরণ জড়িত - এর সঙ্গে বিদেশী রেমিটেন্স জড়িত - এর সঙ্গে সার্বিক বা সামষ্টিক অর্থনীতি জড়িত -এর সঙ্গে অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়া জড়িত - এর সঙ্গে সামাজিক স্থিতিশীলতা জড়িত - ইত্যাদি কিন্তু বিষয়গুলোকে নেগেটিভ অর্থে নেয়া ঠিক হবে না। বরং এর ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। করোনা আমাদের গতিপথ স্লো করে দিয়েছে। আগেই বলেছি ১০০ দিনের বেশি সময় চলে গেছে। গ্রাম শহর সর্বত্র মধ্যবিত্তের সঞ্চয় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট বেশির ভাগেরই লেভেলে চলে আসতে শুরু করেছে। যারা দিন রোজগার করে দিন খায় বা বড়জোর পরদিন পর্যন্ত যেমন নির্মাণ শ্রমিক কৃষি শ্রমিক দিনমজুর তারা বাঁচবে কি করে? তাদের অবশ্যই সরকারীভাবে খাবার সরবরাহ করতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশে এরই মধ্যে তেমনি মানুষের ঘরে ঘরে চাল ডাল আলু পেঁয়াজ লবণ তেল চিনি প্যাকেট করে সরবরাহ করা হয়েছে হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীরা নিরীহ মানুষের ঘরে ঘরে প্যাকেট সরবরাহ করছে। মধ্যবিত্তের মধ্যে যাদের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধান-চাল আছে জমিতে আলু টমেটো আছে তারাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজ নিজ এলাকায় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে নিজের গোলার ধান চাল দিয়ে। দুঃখের বিষয় হলো যারা শত শত কোটি টাকার মালিক দেশে-বিদেশে যাদের ব্যবসা টাকা-পয়সা এই দুর্দিনে তাদের এগিয়ে আসার কথা তারা কিন্তু সেভাবে এগিয়ে আসছেন না। সামান্য কিছু নগদ অর্থ সরকারের ত্রাণ তহবিলে দান করে চারা রোপণ করে রাখে এই চারা থেকে যাতে একদিন ফল ধরে। ইন্টারেস্টিং হচ্ছে দেশে কিছু হলে ঐ বড়লোকরা বিদেশে পালাতেন এবার কিন্তু সে রাস্তা বন্ধ। যেখানে যাবেন সেখানেও করোনা। আমেরিকা যাবেন? সেখানেও করোনা। ব্রিটেন যাবেন সেখানেও করোনা ইউরোপের অন্য কোন দেশে যাবেন মাফ নেই। এশিয়া বা দক্ষিণ এশিয়াও আমাদের মতই। কারও কারও বাড়ি আছে আমেরিকা-ব্রিটেন অস্ট্রেলিয়া মালয়েশিয়া। কোথায় যাবেন সব আক্রান্ত। ক্ষমা নেই। আল্লাহপাক এবার সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে তাদেরও আমাদের পাশে সানকি হাতে ভিক্ষের লাইনে দাঁড়াতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি কথা প্রনিধানযোগ্য: : যে যত বাড়ি-গাড়ির মালিক হোন না কেন, যত পাহাড় গড়ে তোলেন না কেন মৃত্যুর পরে কোন কিছুই সঙ্গে যাবে না। এটি যেন আমরা ভুলে না যাই। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাজ করছেন। ২৪ ঘণ্টায় কত ঘণ্টা ঘুমান তা তিনি জানেন। সারাক্ষণ কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন। করোনার কারণে এখন ভিডিও কনফারেন্সে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করছেন। আমাদের সংসদ সদস্যরা কে সংসদে যাবেন কে যাবেন না কে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকবেন সেদিকেও খেয়াল রাখছেন। লকডাউন তুলে দিয়েছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত পর্যায়ে এর সমালোচনা করেছেন কিন্তু উপায় কি? তারাও কি কোন পথ দেখাতে পারছেন? পারছেন না। প্রশ্ন হচ্ছে করোনা কবে যাবে সে তো কেবল আলিমুল গাইব আল্লাহ পাকই বলতে পারবেন। কোথাকার কোন জ্যোতিষী কি বললেন কোন সাধু বাবা কি বললেন সবই হাওয়ার ওপর। কিন্তু যতদিন এই গজব আছে ততদিন আমাদের তার সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হবে। তাইতো প্রধানমন্ত্রী সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বলেছেন। কাজ না করে পেট মাটিতে এলিয়ে দিয়ে তো বাঁচা যাবে না। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের কিছুটা সঞ্চয় থাকে কিন্তু তার মধ্যেও গত ১০০ দিনে হাত পড়েছে। সঞ্চয়ও নিঃশেষ হবার পথে। ক্ষেতে খামারে কলে-কারখানায় কাজ করা জনগোষ্ঠী তো একদিন কাজ করে বড়জোর দুই দিনের খাবার জোগাড় করতে পারে। তাদের তো পথে নামতেই হবে। বিকল্প নেই। ত্রাণ দিয়ে তো আর পুরো পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যাবে না। ইউটিউবে দেখলাম বিএনপি নাকি ৯০ লাখের বেশি পরিবারের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেছেন। কিন্তু কোথায়? খবরের কাগজেও-তো কিছু নেই। ঢাকা- ২৫ জুন ২০২০ লেখক : এমপি, সাবেক সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×