ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

একদিনে নতুন করে ৪৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৪১২

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৪ জুন ২০২০

একদিনে নতুন করে ৪৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৪১২

স্টাফ রিপোর্টার ‌। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৩ জনের মৃত্যু এবং ৩৪১২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৪৫ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৮৮০ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ২৯২টিসহ এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১১টি। পরীক্ষিত নমুনা সংখ্যার বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্তের হার ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। মঙ্গলবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে একজন এবং বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩০ জন এবং বাসায় ১২ জন মারা গেছেন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬৮০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৯২৭ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ২২০ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন আট হাজার ১৮৫ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ২১ হাজার ১১২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে দুই হাজার ৪১৪ জনকে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬৬০ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৬৪ জন এবং এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৮০ হাজার ৫১৪ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৪ হাজার ১৪৬ জন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, লিঙ্গভেদে শনাক্তের হার পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ১ থেকে ১০ বছর বয়সীদের মৃতের হার দশমিক ৮২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বয়সীদের ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং ৬১ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার ৩৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
×