ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মেয়র তাপসের হুঁশিয়ারি

কর্তব্যে অবহেলা করলে চাকরিচ্যুতি

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২ জুন ২০২০

কর্তব্যে অবহেলা করলে চাকরিচ্যুতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিক সেবায় ব্যতিক্রমী ধারা আনতে মশক নিয়ন্ত্রণের পুরো কার্যক্রম তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। একই সঙ্গে দৈনিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে কোন সময় যে কোন অফিস কার্যক্রম পরিদর্শন করা হবে। কর্তব্য পালনে অবহেলা পেলেই তিনি যেই হোক সঙ্গে সঙ্গে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও জানান তিনি। এজন্য তিনি গৎবাঁধা পুরনো লোকদেখানো কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে এসে মাইন্ডসেট পরিবর্তন করে অর্জিত মেধা- দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নগরবাসীর সেবাদানে আন্তরিকভাবে কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার নগর ভবন সেমিনার রুমে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনারেল শরিফ আহমেদ, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা এয়ার কমোডর আবদুল বাতেন, সচিব মোঃ আকরামুজ্জামানসহ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, এন্টোমোলজিস্টগণ উপস্থিত ছিলেন। মশক নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তৈরিকৃত বিশদ কর্মপরিকল্পনা শুরু করার কথা তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন,মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যেসব কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরা হলো তার সঠিক বাস্তবায়নে কোন ব্যত্যয় বা অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না। কর্তব্যে অবহেলাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি ২৪ ঘণ্টার মেয়র। যে কোন সময় কার্যক্রম পরিদর্শনে যাব। সে সময় স্পটে কাউকে পাওয়া না গেলে ধরে নেবেন তিনি আর ডিএসসিসিতে কর্মরত নেই। সেটা তিনি যে পর্যায়ের কর্মকর্তাই হোন। তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মীর মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ কমিটি মাঠ পর্যায়ে প্রাপ্ত কার্যক্রমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপযুক্ত কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করবেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পরামর্শ নেবেন। ৭ জুন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। মেয়র তাপস বলেন, মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত মশক কর্মীগণ এসব কাজ আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করবেন। মনিটরিঙের দায়িত্বে নিয়োজিতরা তা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লার্ভিসাইডিং কাজটি সঠিকভাবে করা গেলে মশক নিয়ন্ত্রণের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়ে যায় যদিও এটা লোকচক্ষুর অগোচরে হয়ে থাকে তাই নাগরিকদের মধ্যে এর প্রভাব কম। তবে ফগিং করার সময় শব্দ শুনে নাগরিকরা বুঝতে পারেন যে সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে । মেয়র বলেন, ১৪ জুন থেকে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার জলাশয়, লেক, খাল শনাক্ত করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো শুরু হবে। এক সঙ্গে নর্দমা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও চালানো হবে। তিনি বলেন, ডিএসসিসি এলাকাধীন এসবের মালিক সিটি কর্পোরেশন। তাই নগরবাসীর কল্যাণে প্রয়োজনানুযায়ী কার্যক্রম বা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন্ সংস্থা কি করবে বা করল তা দেখা হবে না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করব। প্রয়োজনে ওসব সংস্থা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। উপস্থাপিত এসব কর্মপরিকল্পনা জ্ঞান, মেধা, দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সঠিকভাবে কর্মকর্তাগণ বাস্তবায়ন করলে নগরবাসীর জন্য নতুন আঙ্গিকে নবযুগের সূচনা হবে যা কর্পোরেশনের ইতিহাসে একটি মাইলফলক সৃষ্টি করবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
×