ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সচিব নেই আড়াই বছর, দাফতরিক কাজ করেন চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সচিব নেই আড়াই বছর, দাফতরিক কাজ করেন চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ আয়তন ও জনসংখ্যার দিক দিয়ে মণিরামপুরের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউনিয়ন মশ্মিমনগর। অধিক জনবহুল হলেও এই ইউনিয়ন পরিষদে গত আড়াই বছর ধরে স্থায়ী কোন সচিব নেই। ফলে সেবা নিতে এসে জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পরিষদের কাজকর্মে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সচিব না থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জনসেবার পাশাপাশি পরিষদের দাফতরিক কাজ করেন। শনিবার ছুটির দিন থাকলেও তাকে কাঁঠালতলা বাজারে নিজ কার্যালয়ে দাফতরিক কাজ করতে দেখা গেছে। ভোটে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সেবার কাজ সচল রাখতে চেয়ারম্যান নিজেই সচিবের কাজগুলো করেন বলে জানিয়েছেন। ৭ হাজার ৫শ’ ৯২ বর্গকিলোমিটারের মশ্মিমনগর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ৩০ হাজার ১শ’ ১৫ এবং ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার। প্রতিদিনই ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ কায়েম সনদ, নাগরিক সনদপত্রসহ নানা কাজে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন স্থানীয়রা। এসব কাজের দায়িত্ব ইউপি সচিবের হওয়ায় তাকে না পেয়ে ফিরে যেতে হয় পরিষদে আসা লোকজনকে। উপজেলার চালুয়াহাটি ইউপি সচিব বিল্লাল হোসেন সপ্তাহে সোমবার ও বুধবার দুই দিন মশ্মিমনগর ইউপিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি অপ্রতুল। ইউনিয়নের নোয়ালী গ্রামের আব্দুল গফুর গাজী বলেন, আমার ছেলের কলেজে ভর্তির জন্য জন্ম সনদ লাগবে। চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। তিনি বলেছেন সচিব নেই। সোমবার পরিষদে যেতে। সচিব বেল্লাল হোসেন বলেন, বড় দুই ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করা আমার একার পক্ষে সম্ভব না। মশ্মিমনগর ইউপিতে স্থায়ী সচিব একান্ত প্রয়োজন। চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, আড়াই বছর ধরে আমার পরিষদে স্থায়ী সচিব নেই। ফলে বিভিন্ন ফাইলপত্র তৈরি করতে দাফতরিক কাজগুলো আমাকেই করতে হয়। এইজন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ব্যক্তিগত অফিসে বসে ফাইলপত্রের কাজ করি। জন্মসনদসহ যে কাজে সচিবের স্বাক্ষর লাগে সেটা তার অপেক্ষায় রেখে দেই। চেয়ারম্যান আরও বলেন, সম্প্রতি জরুরী ভিত্তিতে মেয়ের জন্য জন্মসনদ চাইতে আসেন মশ্মিমনগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম। সচিব না থাকায় তাকে ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ বিলে স্বাক্ষরের জন্যও সচিবের অপেক্ষায় থাকতে হয়। ফলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সচিব বাদে পরিষদ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। স্থায়ী সচিবের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, আড়াই বছর ধরে মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদে সচিব নেই, এমনটি আমার জানা নাই।
×