ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মীরসরাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:৫১, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

 মীরসরাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, ২২ জানুয়ারি ॥ জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের বড় মসজিদ এলাকার দক্ষিণ তাজপুর গ্রামে জনচলাচলের জন্য ব্যবহৃত সেতুটি ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে চলাচলরত যান ও জনচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গ্রামবাসী মুছা মিয়া, তাহের আহম্মদ ও মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, আশির দশকে নির্মিত এই সেতুটি দিয়ে দক্ষিণ তাজপুর, সাহেবপুর গ্রাম ও আবুরহাট বাজারে শিক্ষার্থীসহ পায় ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যান ও জনচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকলেও জনপ্রতিনিধিদের কোন মাথাব্যথা নেই। ফলে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে চলাচলরত শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মিয়া জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য এলজিআরডির নিকট চিঠি দেয়া হয়েছে। কিছুদিন পূর্বে এলজিআরডির প্রকৌশলী সেতুটি পরিদর্শন করে গেছেন। শীঘ্রই সেতুটি নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন জানান, দক্ষিণ তাজপুর গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির বিষয়ে আমি জেনেছি। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে সেতুটি পুনর্নির্মাণ অথবা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। হালদা সেতু এখন মরণ ফাঁদ নিজস্ব সংবাদদাতা ফটিকছড়ি থেকে জানান, হাটহাজারী ও বৃহত্তর ফটিকছড়ি উপজেলার সীমান্ত এলাকা বাণিজ্যিক কেন্দ্র নাজিরহাটে শতবর্ষী পুরাতন হালদা সেতুটি দু’বছর আগে দেবে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভা-ারীর আমন্ত্রণে প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী সরেজমিনে এ সেতু পরিদর্শনে এসে সেতুটি দ্রুত নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সারাদেশে ২’শ ১৫টি সেতু নির্মাণে একটি প্যাকেজ প্রকল্পের সঙ্গে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে এলজিইডির প্রকল্প বিশেষজ্ঞ রাফিউল আলম জানান, এ সেতুর নক্সা ও সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পৌঁছানো হয়েছে। অনেক দেন-দরবার করেও সেতুটি এখনও ঝুঁকিতেই রয়েছে। নাজিরহাট হালদা সেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। ১৯১৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার সাবেক ডিস্ট্রিক বোর্ড (বর্তমান জেলা পরিষদ) কর্তৃক লোহার খুঁটি ও গার্ডার দিয়ে এ সেতু নির্মাণ করে। যা হাটহাজারী এবং ফটিকছড়ির মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট পর্যন্ত ট্রেন সার্ভিস চালু হলে এ সেতু যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এ সেতুর কারণে নাজিরহাট নৌ-বন্দরের প্রসার লাভ করে। দিন দিন নাজিরহাট টিম্বার, চা, পণ্য পরিবহন ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব কিছু মিলে অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হয়। যার কারণে, এ সেতুটির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি অধিক ঝুঁকিতে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে এবং যোগাযোগ হয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন। তাই, এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা এখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
×