ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১২ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডিজিটাল ম্যাপ করবে চসিক

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

১২ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডিজিটাল ম্যাপ করবে চসিক

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডের ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়ন করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। পুরো শহরকে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় আনতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিকের ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। ইতোমধ্যেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ানের সময়সীমা হবে আড়াই বছর। শীঘ্রই এ ব্যাপারে চসিক এবং আইডব্লিউএম’র মধ্যে চুক্তি হওয়ার কথা। চসিকের নির্বাচিত ৫ম পরিষদের ৫৩তম সাধারণ সভায় এ তথ্য প্রকাশ করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম অপরিহার্য। শহরের সকল তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান এবং নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জিআইএস পদ্ধতি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধিতে জিআইএস পদ্ধতি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নগরের কোন জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপ নেই। নগরে কি কি সম্পদ আছে তা জানা সকলের উচিত। এমনকি সিটি কর্পোরেশন স্বার্থ সংরক্ষণে এই ম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চসিক মেয়র বলেন, আগামী ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এই শতবার্ষিকীকে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। একে ঘিরে দেশব্যাপী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও বছরব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচীর মধ্যে মশকমুক্ত পরিচ্ছন্ন সবুজ নগর, বঙ্গবন্ধুর নামকরণে জিমনেশিয়াম চত্বরে বঙ্গবন্ধু বই মেলার আয়োজন, প্রতিটি ওয়ার্ডকে চার ভাগে বিভক্ত করে প্রতিটি ভাগে রাস্তা, ফুটপাথ, গলি-উপগলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার, মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং মশার স্থান ধ্বংস করতে কেমিক্যাল স্প্রে, বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতিমাসে দু’বার বিশেষ পরিচ্ছন্নকরণ, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা, চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হাসপাতাল, অফিস ও শপিংকমপ্লেক্স ইত্যাদি পরিচ্ছন্নকরণ, গৃহস্থালির বর্জ্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্টস্থানে ফেলার বিষয়ে ‘পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করুন’, ‘চট্টগ্রাম শহরকে সুস্থ রাখুন’সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেন, নগরবাসীকে সম্পৃক্তকরণ, মনিটরিং ও রিপোর্টিং কার্যক্রম জোরদারকরণ, নগরীকে সবুজায়ন কার্যক্রম ইত্যাদি রয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে বলে মেয়র সভায় উল্লেখ করেন।
×