ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শুভ্র ঘোষ

নেপথ্যে সিন্ডিকেট

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নেপথ্যে সিন্ডিকেট

নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের চলাচল রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট। গুলিস্তানের পরই সবচেয়ে বেশি মানুষের পদচারণা থাকে সেখানে। দিনে এবং রাতে সব সময়ই গিজগিজ করে মানুষ। যে ফার্মগেটে এত পথচারী অথচ সেখানে ফুটপাথ ধরে হেঁটে চলাচল করার কোন সুব্যবস্থা নেই। দখল-দারিত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ফার্মগেটের ফুটপাথগুলো। ফুটপাথজুড়েই গিজগিজ করছে দোকান। পথচারীদের হাঁটার জায়গা দখল করে নানা রকমের বাজার সাজিয়ে রেখেছে অবৈধ দখলদার। ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার মতো পরিস্থিতি নেই সেখানে। তাই বাধ্য হয়ে পথচারীরা নেমে এসেছেন মূল সড়কে। যে কারণে যানচলাচলে বিঘœ ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। সেই সঙ্গে তো থাকছে পথচারীদের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকাজুড়ে ফুটপাথে দোকানের আধিক্য অসহনীয়। ফুটপাথগুলো হকাররা দখল করে ব্যবসা করলেও এর নেপথ্যে আছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। রাজধানীর হকাররাও এসব সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। প্রতিদিনই চলছে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি। কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তাদের এ আধিপত্য। যে কারণে বার বার উচ্ছেদ করার পরও দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না ফুটপাথগুলো। ফুটপাথ দখল করা হকারদের কোনভাবেই ঠেকাতে পারছে না ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার তেজগাঁও কলেজের সামনের মূল সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পেছনেই সিএনজি অটোরিকশাচালক হর্ন বাজিয়ে বলছিলেন ‘আপা একটু সাইড দিয়ে হেঁটে যান।’ চালকের কথা শুনে তিনি বলছেন ‘কোথায় যাব? ফুটপাথে দোকান, রাস্তায় গাড়ি, বিপাকে আমাদের মতো পথচারী।’ বাস্তবতা হলো পুরো ফার্মগেটেই ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার কোন পরিস্থিতি নেই। সব ফুটপাথে অতিরিক্ত দোকান, তার মধ্যে মানুষের হেঁটে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এত ভিড় থাকে যেখানে পুরুষ মানুষই হাঁটতে পারে না আর মেয়েরা কীভাবে হাঁটবে? পথচারীদের চলাচলের জন্য থাকা ফুটপাথে কেন আপনাদের দোকান এমন প্রশ্নের জবাবে ফার্মগেটের ফুটপাথের এক দোকানি বলেন, টাকা দিয়ে দোকান বসাইছি, আবার প্রতিদিন চাঁদাও দিতে হয়। মানুষও হাঁটুক আমাদেরও ব্যবসা হোক। ফুটপাথে দোকান না বসালে কই যামু, বাজারে দোকানঘর নেয়ার মতো তো পুঁজি নেই। তাই প্রতিদিন লাইনম্যানকে টাকা দিয়ে দোকান চালাই। ফার্মগেটে ফুটপাথে শীতের কাপড়ের দোকানি বলেন, ফুটপাথ আসলে মানুষের হাঁটার জন্য কিন্তু আমরা এখানে দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে খাচ্ছি। আমাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ এখানে অনেক শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে যারা প্রতিদিন চাঁদা নেয়। যে কারণে বার বার উচ্ছেদ অভিযানের পরও আমরা ফিরে এসে আবার দোকান নিয়ে বসতে পারি। যারা দখল করে রেখেছে তাদের কাছে আপনারা কিছুই নয়। কলকলিয়াপাড়া, মাগুরা থেকে
×