॥ দ্বিতীয় পর্ব ॥
আমাদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রচেষ্টার পেছনে ছিল দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা। আমরা লক্ষ্য করেছি, ১৯৪৮ সালেই বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের স্বাধীনতাকে ‘গণআজাদী নয়’ বলে একটি বিবৃতি দিলেন তখনই তাঁর সুস্পষ্ট প্রতিপক্ষ তৈরি হয়- যারা বস্তুতপক্ষে সুবিধাবাদী ও বঙ্গবন্ধুর ভাষায় ‘প্রতিক্রিয়াশীল’। ১২ আগস্ট, ১৯৪৮ সালে দেয়া এই বিবৃতি পরদিন দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকায় ছাপা হয় এই শিরোনামে- ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা দিবস, ছাত্র সম্প্রদায়ের কর্তব্য বিশিষ্ট লীগ কর্মী শেখ মুজিবুর রহমানের বিবৃতি (ঢাকা অফিস হইতে প্রাপ্ত)। ঢাকা, ১২ আগস্ট- অধুনা বিলুপ্ত বঙ্গীয় প্রাদেশিক লীগ কাউন্সিলের সদস্য ও পূর্ব-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শেখ মুজিবুর রহমান নিম্নোক্ত বিবৃতি দিয়েছেন-
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট আমরা যে ‘আজাদী’ লাভ করিয়াছি, সেটা যে গণআজাদী নয়, তা’ গত একটি বছরে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হইয়াছে। ‘জাতীয় মন্ত্রিসভা’ দীর্ঘ একটি বছরে জনগণের দুই শ’ বছরের পুঞ্জীভূত দুঃখ-দুর্দশা মোচনের কোন চেষ্টা তো করেনই নাই, বরঞ্চ সেই বোঝার ওপর অসংখ্য শাকের আঁটি চাপাইয়াছেন। ভুখা, বিবস্ত্র, জরাগ্রস্ত ও শত অভাবের ভারে ন্যুব্জ জনসাধারণের ভাত, কাপড়, ওষুধপত্র ও অন্যান্য নিত্য-ব্যবহার্য দ্রব্যের কোন ব্যবস্থা তাঁরা করেন নাই; বরঞ্চ পাট, তামাক, সুপারি ইত্যাদির উপর নয়া ট্যাক্স বসাইয়া ও বিক্রয়-কর বৃদ্ধি করিয়া জনগণের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ করিয়া তুলিয়াছেন। বিনা খেসারতে জমিদারি বিলোপের ওয়াদা খেলাপ করিয়া তাঁরা জমিদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদিগকে পঞ্চাশ ষাট কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করিতেছেন। নূতন জরিপের নাম করিয়া তাঁরা জমিদারি প্রথার সম্পূর্ণ বিলোপ আট বছর স্থগিত রাখার ষড়যন্ত্র করিতেছেন। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার অছিলায় তাঁরা অনেক দেশভক্ত লীগ-কর্মীকেও বিনা বিচারে কয়েদখানায় আটকাইয়া রাখিতেছেন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে মুসলিম ছাত্র সমাজের ওপর এবং আরও কতিপয় ক্ষেত্রে জনতার ওপর লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার ও গুলি চালনা করিয়া তাঁরা আজাদীকে কলঙ্কিত করিয়াছেন। আজ সেই মন্ত্রিসভাই আজাদী উৎসবের সাময়িক সমারোহের দ্বারা নিজেদের অথর্বতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা ঢাকিবার প্রয়াস পাইতেছেন’ (এ উদ্ধৃতিতে মূল বানান হুবহু রাখা হয়েছে)।
এই বিবৃতির উদ্ধৃত বাক্যগুলোয় প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের সংগঠিত আদর্শই প্রকাশিত হয়েছে, যা থেকে মৃত্যুর শেষদিন পর্যন্ত তিনি একবিন্দু বিচ্যুত হননি। দুই শ’ বছরের ব্রিটিশ অপশাসনের পর প্রাপ্ত স্বাধীনতা যে মাত্র এক বছরে বাংলাদেশের মানুষকে হতাশ করেছিল তার বিবরণ আছে ২৮ বছর বয়সের শেখ মুজিবুর রহমানের এই বিবৃতির প্রতিটি শব্দ ও উচ্চারণে। দেখা যাচ্ছে তিনি তখনকার সরকার, মন্ত্রিসভা, এমনকি জমিদারি প্রথা বিলোপের অঙ্গীকার থেকে সরে আসা নিয়েও ক্ষোভ জানাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসায় অঙ্গীকারাবদ্ধ এই যে, দেশপ্রেমিক অথচ বিদ্রোহী চরিত্রের শেখ মুজিব তাঁর মৃত্যুর পরোয়ানা তখনই জারি হয়েছিল। তখন মনের মধ্যে একটি অবিশ্বাস লুকিয়ে রেখে ওই চক্র এই ভেবে হয়ত অপেক্ষা করেছে ‘দেখি মুজিব কী করতে পারে’! কিন্তু একই বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু যে নতুন স্বাধীনতা লাভের আকাক্সক্ষার ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন, অশিক্ষিত সুবিধাবাদী কুচক্রের পক্ষে সে বক্তব্যের তাৎপর্য অনুধাবন করা সম্ভব ছিল না। বঙ্গবন্ধু বিবৃতির শেষ পর্যায়ে বলেছিলেন, ‘বস্তুত গণআজাদীর পরিবেশ সৃষ্টি না করিয়া আজাদী উৎসব করিতে যাওয়া এবং বন্যাক্লিষ্ট, দুর্ভিক্ষ-পীড়িত মরণোন্মুখ জনগণকে সেই উৎসবের শরীক হইতে বলা নিষ্ঠুর পরিহাস ছাড়া আর কিছু নয়। এই প্রহসনে আত্মপ্রতারিত ‘নেতারাই’ সন্তুষ্ট থাকিতে পারেন, জনগণ- বিশেষ করিয়া সচেতন ছাত্র ও যুব-সমাজ উহা দ্বারা বিভ্রান্ত হইবে না। তারা ‘আজাদী দিবস’ অবশ্যই পালন করিবে, কিন্তু সেটা উৎসবের দিন হিসাবে নয়, উৎপীড়নের নিগড় ছিন্ন করার সংকল্প নেয়ার দিবস হিসাবে পালন করিবে।’
বঙ্গবন্ধুর এই ‘উৎপীড়নের নিগড় ছিন্ন করার সংকল্প’ ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের শেষদিন পর্যন্ত তাঁর প্রধান আদর্শ ছিল। সে আদর্শের সঙ্গে তিনি কোন আপোস করেননি বলেই ১৯৪৮ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত ২৭ বছর পদে পদে মৃত্যু পরোয়ানা নিয়ে দেশমাতৃকার সেবা করতে পেরেছেন, নতুন একটি ভূখ- এনে দিয়ে বাঙালী জাতিকে পরাধীনতার ‘নিগড় ছিন্ন’ করাতে পেরেছিলেন। আর তার প্রতিশোধ হিসেবে সেই কুচক্র যারা ১৯৪৮ সাল থেকে প্রমাদ গুণেছেন তারা ও তাদের দোসররাই ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়ে সে পৈশাচিক ঘটনার বিচার না করার দায়মুক্তি পর্যন্ত দিতে পেরেছে।
আগের পর্বে উল্লেখ করেছি বঙ্গবন্ধু ৫ আগস্টের (১৯৭৫) সাক্ষাতকারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাঁর আদর্শের আনুপূর্বিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এই আদর্শ ছিল তখনকার মার্কিন নীতির পরিপন্থী। তারা খাদ্য ও অন্যান্য সাহায্য দিচ্ছিল ব“ে কিন্তু বাংলাদেশকে বাঁধতে চেয়েছিল নানারকম কূটবন্ধনে। সে সময়ের মার্কিন দলিলপত্র পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়Ñ শেখ মুজিবের হাতে বা নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতির ঠিক কোন্ পর্যায়ে আসীন হবে এই নিয়ে তাদের যথেষ্ট উদ্বেগ ছিল। মার্কিন বন্ধু পাকিস্তান তাদের প্রত্যক্ষ মারণাস্ত্র সহায়তা পেয়েও যুদ্ধ ও রাজনৈতিক কৌশলে বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর কাছে পরাজিত হয়েছে, এই যন্ত্রণা পাকিস্তানের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোন অংশে কম ছিল না। পাকিস্তানের অপর বন্ধু চীনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি, এমনকি জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভে প্রকাশ্য আপত্তি করেছে ও বাধা দিয়েছে। ফলে স্বাধীনতা উত্তরকালে নানারকম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপেও যখন বঙ্গবন্ধু নতি স্বীকার না করে বলেন, ‘আমি সমাজতান্ত্রিক কিন্তু সেটা আমার নিজস্ব মতে’ বা যদি বলেন, ‘আমি সব দেশের বন্ধু হ’তে চাই কিন্তু তার মানে এই নয় যে, কোন দেশ ভাবুক আমাকে কী করতে হবে সেটা সে বলে দেবে’ তখন সে অক্ষশক্তির হাতে আর কোন উপায় থাকে না যদি না বঙ্গবন্ধুকে নিশ্চিহ্ন করে পরিবার-পরিজনসহ নির্মূল করে দেয়া যায়, যাতে তাঁর রোপিত আদর্শের ছিটেফোঁটাও খুঁজে না পাওয়া যায়। যদিও পরে ইতিহাস সত্য পথে বাঁক নিয়ে তার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে।
এ রকম এক বিশাল ব্যক্তিত্ব, ২৭ বছরের রাজনৈতিক অনুশীলনের জীবনে যে মানুষ একটি দেশের ভৌগোলিক, নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক ও সোনার বাংলার অর্থনৈতিক পরিচয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পেরেছিলেন তাঁকে যারা হত্যা করার মতো নৃশংস ক্ষমতা রাখে পুরস্কার হিসেবে তাদের দায়মুক্তি দেয়া মূল কুচক্রের জন্য স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু সে দায়মুক্তির সুবিধা কি কেবল সেসব হত্যাকারী কতিপয় সদস্যই ভোগ করেছেন, এ প্রশ্ন এখন আমরা করতেই পারি। যারা তাদের দায়মুক্তির আইন করেছিলেন, অব্যাহত রেখেছিলেন তারাও এর অংশীদার ছিলেন বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। কারণ রাষ্ট্রক্ষমতা ও ক্ষমতা ভোগের সব রকমের সুবিধা নিয়ে দেশী-বিদেশী চক্রকে ধারাবাহিকভাবে তারা সন্তুষ্ট করতে সচেষ্ট ছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিলোপ সাধনে বংশ পরম্পরায় তাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না। এমনও দেখা যায়, হত্যাকা-ের পরে মোশতাক সরকার রাষ্ট্রাচারে অনেক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান চালু করে। একই সময় তিনি ‘বাংলাদেশ বেতার’ এই নাম পরিবর্তন করে রেডিও পাকিস্তানের আদলে ‘রেডিও বাংলাদেশ’ করেন। ধীরে ধীরে একুশ বছরে বাংলাদেশকে তার মূলনীতি থেকে সরিয়ে নেয়ারও সব রকমের চেষ্টা করা হয়। আমরা মনে করি, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নীতিনির্ধারণে যারা জীবন বাঁচাবার অজুহাতে ও চাকরি ঠিক রাখার অভিপ্রায়ে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার মৌলিক আদর্শ জলাঞ্জলি দিতে সামান্য দ্বিধা করেননি তাদেরও ইতিহাসের কাঠগড়ায় একদিন দাঁড়াতে হবে।
কাগজপত্র ও ইতিহাসের দলিলগুলো নিয়ে বসলে আমরা বিচলিতবোধ করি। এমনও অনেক মানুষ আছেন ১৯৭১ সালে যারা গৌরবময় ভূমিকা রেখেছিলেন, পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের সব সাফল্যের সুবিধা নিয়ে বড় বড় পদে আসীন হয়েছেন, তারা ’৭৫ সালের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভোল পাল্টে ফেলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়মুক্তির দায় থেকে এদের কেন আমরা বাদ দিতে যাব? এটা কি স্বতঃসিদ্ধ ছিল যে, বঙ্গবন্ধুর পর এভাবেই ইতিহাসের চাকা পেছনে ঘুরিয়ে দেয়া যাবে আর সে রথযাত্রায় অংশ নিতে কেউ কেউ তৈরিই ছিলেন?
প্রসঙ্গত, যদি আমরা কূটনীতিক হোসেন আলীর কথা বলিÑ যে হোসেন আলী ’৭১ সালে কলকাতা মিশনে পাকিস্তানের উপ-রাষ্ট্রদূত ছিলেন ও ১৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন তিনিই বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মিশনের যাত্রা শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু তাকে প্রথমে অস্ট্রেলিয়া ও পরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেন (জানুয়ারি ১৯৭৩)। অথচ রাষ্ট্রদূত হিসেবে এই হোসেন আলীই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর ১৯ আগস্ট, ১৯৭৫ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী সচিব আলফ্রেড আথারটনের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিনই কিসিঞ্জার এই সাক্ষাতের একটি সারমর্ম ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে পাঠান, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, রাষ্ট্রদূত হোসেন আলী স্বীয় উদ্যোগে এই সাক্ষাত করে বাংলাদেশের মোশতাক সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করেছেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল সুপার পাওয়ার দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে বলে আশা করছে। শুধু তাই-ই নয়, রাষ্ট্রদূত হোসেন আলী আথারটনের সঙ্গে আলাপকালে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭১ সাল থেকেই মোশতাকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে ও মোশতাককে একজন ধার্মিক, সৎ ও স্পষ্টবাদী মানুষ বলে বর্ণনা করেন (উৎধরিহম ড়হ যরং পষড়ংব ভৎরবহফংযরঢ় রিঃয হবি চৎবংরফবহঃ কযড়হফধশধৎ গঁংযঃধয়ঁব অযসবফ ফঁৎরহম ১৯৭১ রহ ঈধষপঁঃঃধ, যব ফবংপৎরনবফ যরস ধং “ঢ়রড়ঁং যড়হবংঃ ধহফ ংঃৎধরমযঃ ভড়ৎধিৎফ)। এটা কেমন করে হলো? আমাদের মনে এই প্রশ্ন এমন অনেক ঘটনা ও মানুষ সম্পর্কে। যেসবের উত্তর মিলে না; কিন্তু মহাকালের জন্য খারাপ বিবেচনার দায় থেকে আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমি কেমন করে কখন মুক্ত হবে সে চিন্তা থেকে আমরা বিরত থাকতে পারি না।
এসব কারণেই দলিলপত্র, ইতিহাস ও এ যাবত প্রকাশিত গোপন দস্তাবেজ বিশ্লেষণ করে আমাদের সঙ্গত চিন্তা এই যে, বঙ্গবন্ধু হত্যায় যারা অস্ত্র চালনা করেছে তাদের বিচার না হওয়ার দায়মুক্তি দিয়ে বরঞ্চ এই ঘটনার পরিকল্পক কুচক্র তাদের সহায়তাকারী, দেশী ও বিদেশী ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথাকথিত এক শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ক্ষমতালোভী রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক আমলা, সুবিধাবাদী সাংবাদিক ও পরের সময়ের সুবিধাভোগী শ্রেণী নিজেদের পাপকার্য থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে এই দায়মুক্তির সবরকম সুবিধা নিয়েছেন। ফলে দায়মুক্তি সংঘটনে ও ২১ বছর তা অব্যাহত রাখতে এসব সুবিধাভোগীর ভূমিকা ছিল না বা দায় নেই এ কথা বলা যায় না।
লেখক : পরিচালক, আমাদের গ্রাম গবেষণা প্রকল্প
[email protected]