ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে শ্রাবণে জমে উঠেছে জেলার ব্রান্ডিং পণ্য পেয়ারার ভাসমান হাট

প্রকাশিত: ১১:৪২, ১ আগস্ট ২০১৯

ঝালকাঠিতে শ্রাবণে জমে উঠেছে জেলার ব্রান্ডিং পণ্য পেয়ারার ভাসমান হাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ॥ এখন মধ্য শ্রাবণ। ঝালকাঠির ব্রান্ডিং পণ্য পেয়ারার ভরা মৌসুম। ঝালকাঠির ১২টি গ্রামের ১০০০ হেক্টর জুড়ে এ অঞ্চলের প্রধান অর্থকরি ফসল হিসেবে শতবর্ষজুড়ে পেয়ার চাষ হচ্ছে। প্রতিদিন পেয়ারার বিপণন ও বিক্রির জন্য এই গ্রামগুলোর মধ্য অঞ্চলের ভীমরুলী পেয়ারার ভাসমান হাট জমে উঠেছে। প্রতিদিন পেয়ারা চাষীরা খুব ভোরে পেয়ারা বাগান থেকে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে ৩-১০ মণ করে পেয়ারা এই হাটে এনে নৌকায় বসেই বিক্রি করেন। স্থানীয় ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, নোয়াখালী, এসব অঞ্চল থেকে আসা, বেপারিরা নৌকায় থেকেই পেয়ারা কিনে ট্রলার অথবা ট্রাকে করে, তাদের গন্তব্যে নিয়ে যান। দুপুরের মধ্যেই ভারপুর ভাসমান হাট শূন্য হয়ে যায়। এই অঞ্চলে মুকুন্দপুরী, লতা ও পুনর্ম-ল জাতের পেয়ারার উৎপাদন হয়। এই পেয়ারা মিষ্টি ও অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এ বছর বৃষ্টি বিলম্বিত হওয়ায় পেয়ারার বাজারের আসাতে ১৫ দিন পিছিয়ে গেছে। আবহমানকাল ধরে মাটি কেটে কান্দি বানিয়ে সেখানে স্বজন পদ্ধতিতে পেয়ারার চাষ হয়ে আসছে। এ বছর পেয়ারার বাজার দর মণ (৪০ কেজি) প্রতি ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে থাকায় পেয়ারা চাষীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। অনন্য বছরের পেয়ারার গায়ে সিট পরা রোগ এ বছর না থাকায় বাজারদর ভাল রয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি পেয়ারা গাছ থেকে পেরে বাজারে আনতে যে, মজুরি খরচ দিতে হয় তার তুলনায় দাম কম এবং এই দামটা আরও বেশি হলে, কৃষকরা আরও লাভবান হবে। বর্তমানে ভীমরুলীর ভাসমান বাজারে প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে, পর্যটক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সামাজিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ দল বেঁধে আসছে। বর্তমানে সরকার এই অঞ্চলকে কৃষি পর্যটন অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য খাল খনন, ল্যান্ডিং প্লাট ফরম ও দর্শনার্থীদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও সৌচাগার রেস্টুরেন্ট নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
×