
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যৌথ বাণিজ্যের উদ্যোগ
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যৌথ বাণিজ্যের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে এদেশের ওষুধ, সার্জিক্যাল পণ্য ও যন্ত্রাংশসহ ইলেক্ট্রনিকস পণ্য এবং শিল্পের মধ্যবর্তী যন্ত্রাংশ খাতে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রে জয়েন্ট ভেঞ্চার বা যৌথ বাণিজ্য উদ্যোগ বড় সুফল বয়ে আনতে পারে বলে আশাবাদী উভয়পক্ষ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক নেটওয়ার্কিং সভায় এসব কথা উঠে এসেছে। উক্ত সভার আয়োজন করে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মুহাম্মদ ওয়াসিফ।
সভায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মোটর ও ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রী এবং শিল্পের মধ্যবর্তী যন্ত্রাংশ খাত উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ঔষধ, সার্জিক্যাল পণ্য ও যন্ত্রাংশ, টেক্সটাইলস প্রভৃতি খাতের সম্ভাবনাকেও কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে এফবিসিসিআই এবং দি ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফপিসিসিআই) যৌথভাবে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মুহাম্মদ ওয়াসিফ বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কারে দুদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে আমি আশাবাদী। এ সময় ঔষধ, সার্জিক্যাল পণ্য ও যন্ত্রাংশসহ টেক্সটাইল, ইলেক্ট্রনিকস পণ্য এবং শিল্পের মধ্যবর্তী যন্ত্রাংশ খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ যৌথ উদ্যোগের আগ্রহ ব্যক্ত করেন উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এনডিসি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও অন্যরা।