ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ৩১ মে ২০১৯

 প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ৩০ মে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত ‘প্রশিকার ২০ লাখ গ্রাহক আমানতের টাকা ফেরত পাননি’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলিষ্ঠ সংগঠন প্রশিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহম্মদ ও প্রধান নির্বাহী কাজী খাজে আলমের সঙ্গে কোন কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রশিকা ও চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক ও কাজী খাজে আলমের ওপর বিএনপি জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে চার দশকব্যাপী লড়াই সংগ্রাম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শক্তি আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে জয়ী হতে সহযোগিতা করেছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান ও নেতৃত্বকে জনমনে এবং সরকারের কাছে বিতর্কিত ও হেয় করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদক তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ২০ লাখ গ্রাহক আমানতের টাকা ফেরত পাননি। টাকা না পেয়ে কেউ কেউ মারা গেছেন এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য। প্রশিকার কোন গ্রাহক আমানত ফেরত পেতে আবেদন করেছেন এবং তা পাননি এমন একটি ঘটনাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। টাকা না পেয়ে মারা গেছেন এমন কোন ঘটনার একটি উদাহরণও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রশিকা দুই ভাগে বিভক্ত এমন একটি মিথ্যা ও কাল্পনিক কথা বলে প্রশিকা থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল ওয়াদুদ ও সিরাজুল ইসলামকে এক অংশের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী আখ্যা দিয়ে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আব্দুল ওয়াদুদ ও সিরাজুল ইসলামের অধীনে ৬৫ উপজেলায় প্রশিকার কার্যক্রম চলছে। ড. কাজী ফারুকের অধীনে বাকি ২৮৫ উপজেলায় অফিসগুলো তালাবদ্ধ আছে। অথচ ওই প্রতিবেদনে প্রশিকার মিরপুরে প্রধান কার্যালয়, মানিকগঞ্জে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে পাঁচটি ফার্ম কাজী ফারুকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলছে। যারা প্রশিকা থেকে বরখাস্ত হয়েছে ও যাদের প্রশিকার প্রধান প্রধান অবকাঠামোয় কোন অবস্থান নেই, বরখাস্ত হয়েছে এমন ব্যক্তি আব্দুল ওয়াদুদ ও সিরাজুল ইসলামের অধীনে ৬৫ উপজেলায় প্রশিকার কার্যক্রম চালু আছে। কাজী ফারুকের প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে ২৮৫ উপজেলা কার্যালয় তালাবদ্ধ-এমন উদ্ভট ও অসত্য কথা আর কি হতে পারে। প্রশিকা আওয়ামী লীগের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ফতোয়া দিয়ে নারী নির্যাতন এবং বিএনপি জামায়াতের মৌলবাদীদের এনজিওবিরোধী এনজিও সহিংসতা বন্ধের দাবিতে প্রশিকা ও এডাব চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক তৃণমূল জনসংগঠনের মহাসমাবেশ ১৯৯৬ সালের ১ জানুয়ারি মানিক মিয়া এভিনিউতে আহ্বান করেন। এই সমাবেশে সারাদেশ থেকে তিন লাখের বেশি নারী-পুরুষ অংশ নিয়েছিল। এভাবে বিএনপির আমলাতান্ত্রিক নির্বাচনের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে নাগরিক সমাবেশ করা হয়। ২০০১ সালে জোট সরকার অক্টোবরে প্রশিকা ও এডাবের ওপর আক্রমণ শুরু করে। প্রশিকার পাইপলাইনে থাকা ৩শ’ কোটি টাকা বন্ধ করে দেয়। জোট সরকারের আক্রমণের কাছে নতি স্বীকার না করায় একুশটি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত ও এক/এগারো সেনা সমর্থিত সরকারের দেয়া ২২ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেন। বহিষ্কৃত বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট আব্দুল ওয়াদুদ, মাহাবুব উল করিম, সিরাজুল ইসলাম প্রশিকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়, মানিকগঞ্জের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ফার্ম দখলের পাঁয়তারা করলে প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা বিতারিত হয়। পিকেএসএফ এমআরএ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক উচ্চতর পর্যায়ের কতিপয় ব্যবস্থাপকের অপকৌশলে প্রশিকার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ এখনও অব্যাহত আছে। বিএনপি জামায়াতের সহচর সিরাজুল ইসলামের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রশিকা ও ড. কাজী ফারুক আহম্মদের সম্মান ও ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রশিকার পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
×