ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১০ বছরেও শেষ হয়নি ওষুধ শিল্প পার্কের নির্মাণ কাজ

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

১০ বছরেও শেষ হয়নি ওষুধ শিল্প পার্কের নির্মাণ কাজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন দফা, আর প্রকল্পে ব্যয় ২১৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮১ কোটি টাকা। কিন্তু ১০ বছরেও শেষ হয়নি ওষুধ শিল্প পার্কের নির্মাণ কাজ। ধীরগতির জন্য ব্যবসায়ীদের স্বদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন বিসিকের প্রকল্প পরিচালক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবহেলার মাশুল গুণতে হবে খাত সংশ্লিষ্টদেরই। ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে এপিআই পার্ক নির্মাণে বিসিকের সঙ্গে চুক্তি হয় ২০০৬ সালে। এরপর নানা জটিলতায় প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে তিনবার। ২১৩ টাকার প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৩৮১ কোটি টাকা। সময়ক্ষেপণের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক দুষছেন ব্যবসায়ীদের স্বদিচ্ছার অভাবকে। এপিআই প্রকল্প পরিচালক আব্দুল বাছেত বলেন, এমন জিনিস তৈরি করতে একটা ইন্ডাস্ট্রি ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন না। প্রথমে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতেও ইতস্তত বোধ করবে। তবে এ বিষয়ে কোন দায়ভার নিতে নারাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের দাবি, আধুনিক যন্ত্রপাতি আর দক্ষ জনবলের অভাবে এগুতে পারছে না প্রকল্পটি। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, টেকনোলজির সমস্যাটা একটি বড় সমস্যা। এছাড়া দক্ষ মানবসম্পদের অপ্রতুলতা আছে এখানে। ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের পেটেন্ট সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। তবে এরপর কাঁচামাল উৎপাদনে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে না পারলে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই শিল্প প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনুমোদিত পণ্য তালিকার বাইরে অন্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট) খোলা যাবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে অনুমোদিত পণ্য তালিকার বাইরে বিভিন্ন পণ্য আমদানির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অনভিপ্রেত।
×