ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোনাল্ডোর শূন্যস্থানে পূরণে বেল!

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৩১ আগস্ট ২০১৮

রোনাল্ডোর শূন্যস্থানে পূরণে বেল!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রায় এক দশক রিয়াল মাদ্রিদে কাটানোর পর গত মাসেই নতুন করে ঠিকানা গড়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। স্প্যানিশ লা লিগা ছেড়ে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছেন সি আর সেভেন। পর্তুগীজ সুপারস্টার সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়ার পর থেকেই তার শূন্যস্থান পূরণ করতে সবধরনের চেষ্টা করছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে ওয়েলস কোচ রায়ান গিগসের বিশ্বাস ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন গ্যারেথ বেল। ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনাল্ডো। এরপর থেকেই দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছেন সি আর সেভেন। কিন্তু গ্রীস্মকালীন দল বদলে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার পর থেকে ক্লাবটির আক্রমণভাগের মূল দায়িত্ব পালন করে চলেছেন বেল। গেটাফে ও জিরোনার বিপক্ষে লা লিগায় রিয়ালের সূচনালগ্নে গোল করে জয়ও এনে দিয়েছেন এই ওয়েলস সুপার স্টার। যে কারণেই গিগস মনে করেন রোনাল্ডোর অভাব পূরণ করার সবরকমের যোগ্যতাই রয়েছে বেলের। এ বিষয়ে রায়ান গিগস বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানোর মতো কোন তারকা খেলোয়াড় যখন দল ছেড়ে চলে যায় তখন সবার দৃস্টি থাকে তার পরিপূরকের দিকে। সেটি গোলের দিক থেকেই হোক কিংবা আক্রমণের দিক থেকে। এমন ঘাটতি পূরণ করাটা বেশ কঠিন। কিন্তু দীর্ঘদিন ক্লাবে থাকার কারণে বেল যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। প্রতি বছরেই তিনি বেশ চাপের মধ্যে পড়েন এবং দক্ষতার সঙ্গে সেটির মোকাবেলা করেন।’ গিগসের মতে রোনাল্ডোর দল ত্যাগের পর অন্য যে খেলোয়াড় গোল করছে তার দিকেই সবার দৃষ্টি নিবদ্ধিত হবে। তিনি বলেন, ‘বড় ম্যাচে বেল নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। ফলে সে যে কোন পরিস্থিতিই সামাল দিতে পারবে।’ চলতি বছরের শুরুতেই ওয়েলসের শীর্ষ গোলদাতার স্থান দখল করেন বেল। ২৯টি আন্তর্জাতিক গোল করে তিনি টপকে যান ইয়ান রাসের রেকর্ড। ২৯ বছর বয়সী বেলকে আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ও ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য গঠিত ২৫ সদস্যের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গিগস মনে করেন, ‘অগ্নিমূর্তিতে এই মৌসুম শুরু করেছে বেল। তবে যখন সে ভাল খেলতে পারবে না তখন তার ওপর নির্ভরতাও কমে যাবে। আমি সবসময় বেলের ইনজুরি নিয়ে চিন্তায় থাকি। ইনজুরিতে পড়লে তাকে পিছিয়ে পড়তে হয়। সেখান থেকে ফিরতে তার প্রচুর সময় নষ্ট করতে হয়। কিন্তু যখন সে খেলার মধ্যে থাকে তখন পুরো সময় জুড়েই ভাল খেলে, কম-বেশী গোল করাটা তার নিয়মিত স্বভাব।’ তবে অস্বীকার করার উপায় নেই যে, গত দেড় দশক ধরেই ফুটবল মাঠের আলোচিত নাম রোনাল্ডো। স্বদেশী ক্লাব স্পোর্টিং থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে সম্প্রতি জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার পরও ফুটবলপ্রেমীদের সব মনোযোগ কেড়ে নিয়েছেন তিনি। তবে মাঠের রোনাল্ডো মাঠের বাইরে কেমন? এ বিষয়ে জানতে স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু সে ব্যাপারে খুব একটা সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবে রোনাল্ডোর এক সময়ের ক্লাব সতীর্থ ব্রাজিলের রিকার্ডো কাকা সেই সুযোগটা করে দিলেন এবার। এসি মিলানের কিংবদন্তি এবং সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা ফুটবলার এক সাক্ষাতকারে জানালেন ব্যক্তিগত রোনাল্ডো কেমন। এ প্রসঙ্গে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার কাকা বলেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো খুব বন্ধুসুলভ এবং মিশুক। তার সঙ্গে খেলতে পারাটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। এমনকি তার বিপক্ষে খেলার অনুভূতিটাও দুর্দান্ত। কেননা সে খুব প্রতিযোগী মানসিকতার মানুষ। সবসময়ই জেতার মানসিকতা তার।’ নয় বছর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনাল্ডো। অন্যদিকে ২০১৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দেন কাকা। এর ফলে চার বছর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে একসঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সেই সময়ের দারুণ সব স্মৃতিগুলোকে সামনে টেনে এনে কাকা বলেন, ‘যে সময়টাতে আমি মাদ্রিদে ছিলাম তা ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক। আমি ক্রিস্টিয়ানোর খুব কাছের ছিলাম। তবে রিয়াল মাদ্রিদের লকার রুমের সব খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে তা সম্ভব ছিল না।’ কাকা এ সময় আরও বলেন, ‘শুরুতে যে গ্রুপটার কথা খুব বলাবলি হতো সেখানে ছিল পর্তুগালের পেপে, মার্সেলো, আমি এবং ক্রিস্টিয়ানো। আমরা সবাই সবার খুব কাছের বন্ধু ছিলাম।’
×