ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসআইর পরামর্শে লন্ডনে বসে তারেক ষড়যন্ত্র করে চলেছেন

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৩ মে ২০১৮

আইএসআইর পরামর্শে লন্ডনে বসে তারেক ষড়যন্ত্র করে চলেছেন

শংকর কুমার দে ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী হওয়ার পর বেপরোয়া ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অপর অভিযুক্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনে বসে তারেক রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কানেকশনে ষড়যন্ত্র মেতে উঠেছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। গোয়েন্দা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই লন্ডনে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা, ভাংচুর, জঙ্গী তৎপরতা, উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগসহ নানামুখী ষড়যন্ত্রের চাল দিচ্ছেন তিনি। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী হওয়ার পর আইএসআইয়ের শলাপরামর্শ অনুযায়ী তিনি বিএনপির নীতি নির্ধারণীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এ প্রতিবেদন পেয়েছে ঢাকার গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা ওই প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে বন্দী হওয়ার পর লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পরই তার সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কানেকশন বেড়ে যায়। তাদের পরামর্শেই লন্ডনে সহিংসতা ঘটিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন তিনি। বিএনপির নীতি নির্ধারণীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সাহায্য-সহযোগিতা করে চলেছে আইএসআই। তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার পর উপমহাদেশের সক্রিয় মৌলবাদী ও জঙ্গী নেতাদের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশ কার্যত মৌলবাদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছিল। সেই মৌলবাদ-জঙ্গীবাদের উত্থান শুধু বাংলাদেশকে এখনও জঙ্গীবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হতাহতের মতো ভয়াবহ পরিণতির ঝুঁকি নিয়ে এগোচ্ছে। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিয়মিত পাকিস্তানী গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং তাদের নির্দেশনাগুলোই দলের নেতাদের জানাচ্ছেন, যা দলীয় নেতারা আঁচ করতে পারছেন না। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগাযোগের ঘটনা ফাঁস হয় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও চট্টগ্রামের দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনার তদন্তে। তবে চিকিৎসার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে আইএসআইয়ের সঙ্গে বৈঠকের খবরটি চাউর হয়, যা নতুন করে তারেক রহমানের আইএসআইর কানেকশন আলোচনায় আসে। খুব গোপনীয়ভাবে সেন্ট্রাল লন্ডনে একটি হোটেলে আইএসআইর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তারেক রহমান যেখানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনে পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দীন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আরেক যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান এবং লন্ডনের জামায়াতের কয়েক নেতা। এসব অভিযোগের তথ্যের তদন্ত শেষ না হতেই এখন আবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসে হামলা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, একাত্তর টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা ও ক্যামেরা ছিনতাই, সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিয়ে মিছিলসহ সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যেসব বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের যেসব নেতা, কর্মী, ক্যাডার সংগঠিত করে সন্ত্রাস চালানোর ঘটনাটিতে আইএসআই কানেকশন বিষয়ে তথ্য পায় গোয়েন্দারা।
×