ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের মামলায় স্বঘোষিত গডম্যান আসারামকে দোষী সাব্যস্ত

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

ধর্ষণের মামলায় স্বঘোষিত গডম্যান আসারামকে দোষী সাব্যস্ত

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রায় পাঁচ বছর আগেকার ধর্ষণের মামলায় স্বঘোষিত গডম্যান আসারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করল জোধপুরের তফসিলি জাতি-জনজাতি আদালত। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আর্জি জানানো হবে বলে তার আশ্রমের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এই মামলায় আসারাম সহ মোট পাঁচ জন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে আদালত। আইনজীবীদের ধারণা ৭৭ বছরের আসারামের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড মিলতে পারে।রায় ঘোষণা হতে না হতেই মুখ খুলেছেন ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা। তিনি বলেছেন, ‘‘ অবশেষে ন্যায় বিচার মিলল। আশা করি আসারাম কঠিন সাজা পাবে।’’ আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার রায় নিয়ে রীতিমতো দুর্গের চেহারা নিয়েছে জোধপুর। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজস্থান, গুজরাত ও হরিয়ানায়। তিন রাজ্যেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো। গুরমিত রাম রহিমের শাস্তি ঘোষণার পর ছক কষে এমন হাঙ্গামা বাধানো হয়েছিল যে, ৩৬ জনের প্রাণ যায়। নষ্ট হয় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। দাপটের বিচারে আসারাম বাপু-ও তো কম কিছু নয়। দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার চার শতাধিক আশ্রম। কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তি। রয়েছে বিশাল ভক্তকুল। অতএব আশঙ্কার মেঘ কাটছে না। গুরমিতের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল— এ ক্ষেত্রেও আদালত বসে জেলের মধ্যেই। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় জেল চত্বর। রায় ঘোষণার আগে এ দিন গ্রেফতার করা হয় তার ৬ ভক্তকে। ২০১৩ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলেই রয়েছে আসারাম। ১২ বার জামিনের আবেদন করেছে সে। খারিজ হয়েছে প্রতি বারই। অভিযোগ, অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার নাম করে মানাই গ্রামের আশ্রমে নিয়ে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের শাহজহানপুরের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল আসারাম বাপু। গুজরাতের সুরাতেও আসারাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন দুই বোন। আসারামের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে গত চার বছরে এই দুই মামলার ৯ জন সাক্ষীর উপর হামলা হয়েছে। মারা গিয়েছেন ৩ জন। গুরমিতের শাস্তি ঘোষণার পর যেমন হাঙ্গামা হয়েছিল, আসারামের সমর্থকরা যাতে তেমন কিছু করতে না পারে, সে দিকে কড়া নজর রাখছে পুলিশ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জোধপুর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। শহরে সব বাস টার্মিনাস ও রেল স্টেশনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। হোটেল ও ধর্মশালায় কারা আসা-যাওয়া করছেন, নজর রাখা হচ্ছে সে দিকেও। শহরের বাইরে পল রোডে আসারামের আশ্রম। অশান্তির আশঙ্কায় সেটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×