ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে আলোচনা

পাপ করলে শাস্তি পেতেই হয়- রায়ে প্রমাণিত

প্রকাশিত: ০৮:০১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

 পাপ করলে শাস্তি পেতেই হয়- রায়ে প্রমাণিত

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, পাপ করলে শাস্তি পেতেই হয় তা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। আগে ৯৩ দিন ধরে স্বেচ্ছায় নিজেকে বন্দী রেখে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিলেন। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, আজ দুর্নীতি মামলায় সত্যিকারের মতো তাঁকে কারাগারে বন্দী থাকতে হয়েছে। এটাই হলো বাস্তবতা ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকি, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, সরকারী দলের কামরুল লায়লা জলি, ড. জয়া সেন গুপ্তা, মীর শওকাত হোসেন বাদশা, জাহান আরা বেগম সুরমা ও জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাংলাদেশ যখন সবদিক এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই পরাজিত শত্রুরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকতে দুর্বল গোষ্ঠী এতিম শিশুদের অর্থ আত্মসাত করেছেন। মামলার রায় তাঁর বিরুদ্ধে ৫ বছরের রায় হয়েছে। পাচার করে বিদেশে অর্থের পাহাড় গড়েছে জিয়া পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু খালেদা জিয়ার পচা শামুকে পা কেটেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করলেও এতিমের টাকা মেরে খাওয়ায় তাঁকে জেলে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে তারেক জিয়া জুয়া থেকে অর্জিত টাকা দেখিয়েছেন। লন্ডনে বাংলাদেশী হাইকমিশনে হামলার জন্য সেখানে তারেক জিয়াকে এক নম্বর আসামি করে মামলা হয়েছে। জিয়া পরিবারের কুকর্মের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই আগুন সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টিকারী জিয়া পরিবারকে দেশের মানুষ আর গ্রহণ করবে না। আগে ৯৩ দিন নিজেকে বন্দী রেখে সারাদেশে আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছেন খালেদা জিয়া। কী নির্মম পরিহাস, দুর্নীতির কারণে আদালতের রায়ে সত্যিকারের মতো বন্দী হয়েছেন। এটাই হলো বাস্তবতা। জাতীয় পার্টির ইয়াহহিয়া চৌধুরী বলেন, জীবনের সকল ঝুঁকি নিয়ে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বলেই দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় রক্ষা পেয়েছে। জাতি সত্যিকারের একটি বিরোধীদল পেয়েছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, ফাইল ছোঁড়াছুড়ি, সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি বর্তমান বিরোধীদল বিশ্বাস করে না। জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরশাদকে জেলে নেয়াসহ সবকিছুই করেছেন। জেলে থাকতে এরশাদ কারাগারে বড়ই গাছ লাগিয়েছেন। আজ খালেদা জিয়াকেও দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয়েছে। ২৮ বছর পর বড়ই গাছটিতে ফল ধরেছে। কারাবিধিতে বড়ই খাওয়ার সুযোগ আছে কি না জানি না। সুযোগ থাকলে অনুরোধ থাকবে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের লাগানো গাছের বড়ই যেন খালেদা জিয়াকে খাওয়ানো হয়। যাতে নিজের ভুলগুলো তিনি উপলব্ধি করতে পারেন। সবদিক থেকে এগিয়ে গেলেও আত্মস্বীকৃত ঘুষখোর মন্ত্রীদের অবশ্যই তাড়াতে হবে। হুইপ মাহাবুব আরা গিনি বলেন, অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হয়, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় তা প্রমাণ করেছে। অনেকেই বলার চেষ্টা করেছেন, নির্বাচন থেকে তাঁকে নাকি দূরে রাখতেই এই মামলা। এটি মোটেও সত্য নয়। কিন্তু এই মামলা তো আওয়ামী লীগ করেনি। খালেদা জিয়ারই প্রিয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দিন ও মঈন উ আহমদরা এ মামলা করেছেন। দেশের জনগণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই তাঁর লোক হলে কেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নেননি ? পেট্টোল বোমায় নিহত শত শত নিহত মানুষের পরিবার যদি বিচার চায় তবে কতবার খালেদা জিয়ার অনেকবার ফাঁসির রায় হত। জনকণ্ঠে স্বদেশ রায় লিখেছেন, তারেক রহমানের ইনকাম নাকি জুয়া খেলায়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকা সাম্প্রদায়িক নেতাদের কাছে প্রশ্ন- ইসলাম ধর্মে কী জুয়া খেলা যায়? জয়া সেন গুপ্তা বলেন, আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারাবিশ্বই স্বীকার করেন বাংলাদেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
×