ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাকার জন্য স্ত্রীকে ৩ দিন আটকে রেখে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

টাকার জন্য স্ত্রীকে ৩ দিন আটকে রেখে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৩ অক্টোবর ॥ টাকার জন্য স্বামী খবির দফাদার দু’সন্তানের জননী স্ত্রী রিনা বেগমকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে কলাপাড়া উপজেলা পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামে। শনিবার বিকেলে আহত রিনা বেগমকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ভাই আবদুর রব উদ্ধার করে। পরে রবিবার রাতে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের আবদুল গনি হাওলাদারের কন্যা রিনা বেগমকে (৩২) কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাকামইয়া গ্রামের সোনামদ্দিন দফাদারের ছেলে খবির দফাদারের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ভালই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। ২০০৭ সালে স্ত্রী রিনা বেগম ঝিয়ের কাজের ভিসায় সৌদি আরব যায়। গত ১০ বছর রিনা বেগম সৌদি আরব ছিল। গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আর সৌদি আরব যাবেনা মর্মে বাড়িতে আসে। সৌদি আরবে উপার্জিত টাকা স্বামী খবির দফাদারকে দেয়। এ টাকা দিয়ে স্বামী সাংসারিক ব্যয়সহ আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করে। কিন্তু বাড়ি নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি। এদিকে স্বামীর সন্দেহ হয় স্ত্রী রিনা বেগম সৌদি আরবে উপার্জিত টাকা বাবার বাড়িতে রেখে দিয়েছে। গত শুক্রবার সকালে খবির দফাদার স্ত্রী রিনার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ওইদিন সন্ধ্যায় রিনা টাকা না নিয়ে বাড়িতে আসে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। একপর্যায় ঘরের বাডাম (গাছের চ্যারা) দিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এতে তার শরীরের বাম হাতের বাহু, দু’পায়ে জখম হয়। বাউফলে গৃহবধূর চোখ উৎপাটনের চেষ্টা নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল থেকে জানান, মঞ্জু রানী (৩০) নামের এক গৃহবধূর চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাউফলের দাশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ওই গৃহবধূকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, মঞ্জু রানীর ভাই অমল কৃত্তনিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী কাঞ্চন খলিফার ছেলে দুলাল খলিফার বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে দুলাল খলিফা ও তার স্ত্রী রুনু বেগম ওই বাড়িতে গিয়ে লাকড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় মঞ্জু রানী বাধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দুলাল খলিফা তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। একপর্যায় তার স্ত্রী রুনু বেগম মঞ্জু রানীকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর দুলাল খলিফা একটি বাঁশের সুচারু কঞ্চি দিয়ে মঞ্জু রানীর ডান চোখ খুচিয়ে উপরে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় ডাক চিৎকার শুনে মঞ্জু রানীর মা মনিকা রানী বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিপ্রা রানী এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। ঘটনার সময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক ছিলনা। খবর পেয়ে অমল কৃত্তনিয়া ও তার ছোট ভাই কমল কৃত্তনিয়া বাড়ি এসে আহত মঞ্জু রানীকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার চোখের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
×