ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টেস্টে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভিলিয়ার্স!

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২০ অক্টোবর ২০১৭

টেস্টে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভিলিয়ার্স!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। কখনও অধিনায়কত্ব করেছেন, কখনও উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর কখনও বা শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। নিজের মেজাজ-মর্জি অনুসারেই এখন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সেটাও যখন ইচ্ছা খেলছেন, যখন ইচ্ছা বিশ্রামে থাকছেন। ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাও (সিএসএ) অন্যতম নির্ভরযোগ্য এ ক্রিকেটারকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দিয়েছে। তবে এখন আবার ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছেন ভিলিয়ার্স। সফরকারী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রানের একটি বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন এখন প্রোটিয়া টেস্ট দলে ফেরাটাই মূল লক্ষ্য তার। গত বছর জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়ানে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ভিলিয়ার্স। এরপর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই সরে থাকেন তিনি। ওই সুযোগে ফাফ ডু প্লেসিস নেতৃত্ব দিয়ে প্রোটিয়াদের দারুণ সফল করেন। বছরের শেষদিকে ফেরার কথা ছিল ভিলিয়ার্সের। সেই সময় আলোচনায় এসেছিল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের অধিনায়ক প্লেসিসের সাফল্য থাকলেও ভিলিয়ার্সই অধিনায়কত্বের ভার নেবেন। কিন্তু ভিলিয়ার্স ওই বিতর্কে নিজেই জল ঢেলে সব শান্ত করে দেন। তিনি জানিয়ে দেন, ‘আপাতত ফিরছি না, আমার আরও সময় প্রয়োজন টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত হতে। আর যখনই ফিরব আর অধিনায়কত্ব করতে চাই না।’ দেড় বছরের বেশি পেরিয়ে গেছে অবসরও নেননি, ফর্মও বাজে হয়নিÑ এরপরও টেস্টে ফেরেননি ভিলিয়ার্স। তবে এখন আবার সাদা পোশাকে খেলার জন্য মন আকুপাকু করছে তার। মাঝে মাঝে ফিরে ওয়ানডে ও টি২০ খেললেও টেস্ট খেলেননি। দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচ থেকে দূরে থাকার কারণ হিসেবে ভিলিয়ার্স বলেলেন, ‘আমার পরিবারের সঙ্গে কয়েক মাস সময় দেয়াটা খুবই প্রয়োজন ছিল। এর মধ্যে ওটিস দায়িত্বে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কোচ হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত হওয়ার আগেই আমি দেখা করে কথাবার্তা বলেছিলাম তার সঙ্গে। আমি জানতামই যে সে দারুণ এক মানুষ। সে আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল ক্যারিয়ার নিয়ে কোনদিকে এবং কতদূর যেতে চাই আমি। তখনই আমি টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসার ইচ্ছা জানিয়েছিলাম।’ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন ফিরলেও আর নেতৃত্ব দিতে চান না দক্ষিণ আফ্রিকাকে। কারণ এত বড় দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার মতো অবস্থা আপাতত নেই। এরচেয়ে যে কারও অধীনে খেলে যেতে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তিনি। আর সেটা সিএসএকে জানিয়েও দিয়েছেন। এ বিষয়ে ভিলিয়ার্স বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমি অধিনায়ক হিসেবে ছিলাম। আমার কিছু চমৎকার অর্জন আছে, বাজে অভিজ্ঞতাও আছে। আমি শুধু অনুভব করছি যে, যা হয়েছে অনেক হয়েছে। আমি ক্যারিয়ারের শেষ কয়েকটি বছর উপভোগ করতে চাই। আমি জানি ফাফ অধিনায়ক হিসেবে কতখানি উপযুক্ত। আমার মনে হয় আমাদের দেশে যত অধিনায়ককে পেয়েছি, তাদের মধ্যে সে অন্যতম সেরা নেতাদের একজন হতে চলেছে। আমরা সবাই মিলে যতখানি পারি সবটুকু সমর্থন তাকে দিতে চাই।’ নতুন প্রধান কোচ গিবসনও ভিলিয়ার্সের ব্যাপারে কোন হস্তক্ষেপ করতে চান না। ভিলিয়ার্স চান নিজের স্বাধীনতা অনুসারে খেলা চালিয়ে যেতে এবং সে বিষয়ে সম্মতি আছে গিবসনের। বর্তমান অবস্থা নিয়ে এ ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘আমি এখনও যথেষ্ট নার্ভাস। তবে কিম্বার্লিতে নামার পর থেকে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছি টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার জন্য।’
×