ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৮ আগস্ট ২০১৭

ফিরে দেখা

বক্তব্য শুরুর ১০ মিনিট পর সালাম! আরাফাত মুন্না ॥ ১২ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কাজীর পাগলা এ টি ইনস্টিটিউশনে এক বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অনুষ্ঠানের সভাপতি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার। তিনি বক্তব্য দিয়েছেন প্রায় ৩০ মিনিট। তার বক্তব্য শুরুর মিনিট দশেক পর সবাই ভাবছিল এখনই হয়ত তার বক্তব্য শেষ হবে, ঠিক তখনই তিনি সালাম দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য প্রদান শুরু করেন। আবুল বাশার সালাম দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনুষ্ঠানস্থলে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এই উবার? রশিদ মামুন ॥ আজকাল শৌখিন নাগরিকরা প্রাইভেটকারে ঢাকায় ঘোরেন। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। হোক না সে অন্য জনের গাড়ি, তাতে কি আসে যায়। অথচ কিছু দিন আগেও রাস্তার দামী গাড়ি মানেই নির্দিষ্ট এক শ্রেণীর মানুষের সেখানে দখল ছিল। এখন অতটা সামর্থ্য না থাকলেও চলে। কোনক্রমে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ভাড়া হলেই চলে। যদিও হলদে রঙের ট্যাক্সিতে এই সুবিধা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু তাদের দেখা মেলাই কঠিন। এর ওপর ভাড়াটাও বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে ঠেকিয়েছেন তারা। নতুন এই পদ্ধতির নাম উবার। ডাকলেই আপনার দরজায় হাজির। এখন তো লোকে প্রাইভেট গাড়ি দেখলেও মাঝে মধ্যে জানতে চায় এই উবার। ক’দিন আগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। এক ভদ্রলোক সঙ্গে এক ভদ্রমহিলাকে নিয়ে এসে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে জানতে চাইলেন এই উবার? এতে কেউ বিব্রত হলে হতেই পারেন, তার গাড়িতে উবারে দেয়া হয়নি। কিন্তু উবার আছে এটা তো বাস্তবতা। বের হওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না তৌহিদুর রহমান ॥ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেতে হয় পেশাগত কারণে। সেদিন মন্ত্রণালয়ের কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে ডিক্যাব লাউঞ্জে বসেছি। এমন সময় শুরু হলো বৃষ্টি। এরই মধ্যে ডিক্যাব লাউঞ্জে উপস্থিত হলেন যুগান্তরের মাসুদ করিম আর ইত্তেফাকের মাইনুল আলম ভাই। দু’জনেই আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র। তিনজন বসে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করছি। আর অপেক্ষা করছি বৃষ্টি কখন থামবে। তবে অনেক বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে বের হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অবশেষে প্রায় দু’ঘণ্টা পর বৃষ্টি থামল। বেলা তখন তিনটা। আমরা তিনজন ডিক্যাব লাউঞ্জ থেকে বের হলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূল ভবনের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। তবে বের হওয়ার পথ নেই। মূল ভবন থেকে প্রবেশ গেট পর্যন্ত প্রায় হাঁটু পানি। গেট পর্যন্ত যেতে হলে জুতা খোলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এরই মধ্যে মানবজমিনের কূটনৈতিক রিপোর্টার মিজানুর রহমান এসে উপস্থিত। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, কিভাবে গেট পর্যন্ত যেতে পারি। মিজান আমাদের পথ দেখালেন। ফুল বাগানের পাশ দিয়ে একটি পথ রয়েছে। বাগানের বাউন্ডারি ঘেঁষে সেই পথটি বৃষ্টিতে ডোবেনি। আমরা তিনজন সেই পথ দিয়ে বেরিয়ে এলাম।
×