
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম.এ. সালাম বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়, এটি ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলনেরই যৌক্তিক পরিণতি। শনিবার সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে সাংবাদিক ও সুধীজন নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং ছাত্র-জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধেই সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন এই দীর্ঘ সময়ে গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ও বাক-স্বাধীনতা হরণ ছিল আওয়ামী সরকারের অস্ত্র। সিলেটসহ সারাদেশে বহু মানুষ নিখোঁজ ও শহীদ হয়েছেন, কিন্তু তাদের স্বজনেরা এখনও বিচার পায়নি।
তারেক রহমানকে ‘দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নেতৃত্ব, সহনশীলতা ও দিকনির্দেশনার মধ্য দিয়েই তারেক রহমান আজ শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আগামীর বাংলাদেশ গড়তে ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছেন যা সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রণীত।
সভায় তিনি জানান, জনগণের ভোটে সরকার গঠনের পর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান, নারী উন্নয়ন ও প্রবাসী কল্যাণসহ দেশের প্রতিটি খাতে গঠনমূলক সংস্কার ও উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি। কোনো দল বাদ দিয়ে নয়, বরং সম্মিলিত ঐক্যের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যমই জাতির বিবেক। গত ১৭ বছরে শতাধিক সাংবাদিক নির্যাতিত হয়েছেন, অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, পেশা হারিয়েছেন। তাই আপনাদের সাহসী ভূমিকাই আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। বক্তব্যের শেষে ব্যারিস্টার সালাম বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। জনগণের মালিকানা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।
রাজু