ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রকে মারপিট ॥ শিক্ষক আটক

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১২ জুন ২০১৭

ছাত্রকে মারপিট ॥ শিক্ষক আটক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কোচিংয়ে বই নিয়ে না আসায় ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এক শিক্ষক। শনিবার দুপুরে যশোর শহরের রেলরোড এলাকার সৃজনী কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতে জড়িত শিক্ষক শাহীনকে পুলিশ আটক করেছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্র শেখ আরিফ উদ্দিন নেহাল (১২) নবকিশলয় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ও শহরের নিরালাপট্টি এলাকার শেখ কুতুব উদ্দিন প্রিন্সের ছেলে। নেহাল জানায়, শনিবার কোচিংয়ে সে বিজ্ঞান বইয়ের পরিবর্তে ধর্ম বই নিয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষক শাহীন তাকে বেত দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিটে তার ডান হাতের আঙুল ভেঙ্গে গেছে এবং নখ উঠে গেছে। ঘুষি মারায় চোখের নিচে কালশিটে পড়ে গেছে। এছাড়া বেতের আঘাতে হাত ও পায়ে দাগ হয়ে গেছে। একটি বেত ভেঙ্গে যাওয়ায় শাহীন স্যার আরেকটি বেত আনার জন্য গেলে সে কোচিং থেকে পালিয়ে চলে আসে। নেহালের পিতা শেখ কুতুব উদ্দিন প্রিন্স জানান, চলতি মাসেই নেহালকে তিনি ওই কোচিংয়ে ভর্তি করেছিলেন। নির্যাতনের শিকার ছেলেকে বিকেলে তিনি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই শিক্ষক শাহীনকে আটক করেছে। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আজমল হুদা শিক্ষক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ॥ ধর্ষকের পক্ষে পুলিশ স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করেছে সাদ্দাম হোসেন রাজু নামের বখাটে। এই ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে সাদ্দাম হোসেন। এদিকে পুলিশ ধর্ষককে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ মা, বাবা ও স্বজনদের। মেয়েটির মা জানান, শিবগঞ্জের ভাঙ্গা ব্রিজের কাছ থেকে ফিল্মি কায়দায় মাইক্রোতে উঠিয়ে রহনপুর নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষণ ও ভিডিও ধারনের ঘটনা ঘটে। ধর্ষকের বাবা রহনপুরের বিশিষ্ট কোটিপতি ব্যবসায়ী। তারা এখন টাকার জোরে পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে মীমাংসার চেষ্টা করছে। পুলিশ সুপার জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করার পর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। মেয়েটির জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য শীঘ্রই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হবে। মেয়ের বাবা জাকারিয়া জানান, এখন পর্যন্ত ভিডিও উদ্ধার ও ধর্ষককে গ্রেফতারের তৎপরতা নেই। ধর্ষিতা জানায় তাকে উদ্ধারের সময় ধর্ষক উপস্থিত থাকলেও তাকে আটক করা হয়নি। পুলিশ সুপার এটিএম মুজাহিদ জানান, তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। দুই ধর্ষকের যাবজ্জীবন এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- প্রদান করেছেন আদালত। একই সঙ্গে উভয়কে এক লাখ টাকা করে অর্থদ- অনাদায়ে আরও তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ জিয়াউর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে রবিবার এ রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্তরা হলো, সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহার মোড়ের দেলশাদ কটার ছেলে আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগী একই ইউনিয়নের আন্ধনীডাঙ্গা গ্রামের মোঃ মোস্তফা ওরফে কানজেলালের ছেলে জিয়ারুল। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯ নবেম্বর আতাহার জুগিডাইং এলাকার আদিবাসী গৃহবধূকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে আম বাগানে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে ১ ডিসেম্বর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
×