ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘ব্রাজিলের রক্তে আছে জয়ের নেশা’

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৩ মার্চ ২০১৭

‘ব্রাজিলের রক্তে আছে জয়ের নেশা’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছরের ১০ নবেম্বর। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে বার্সিলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসিকে নিজের বিমানে করে ব্রাজিলে নিয়ে আসেন নেইমার। তখন অনেকের মুখে চটকদার কথাবার্তা চাউর হতে থাকে। তাহলে কি দুই বন্ধু পয়েন্ট ভাগাভাগি করবেন। কিন্তু না, তেমন কিছুই ঘটেনি। আতিথ্য দিয়ে মেসিকে রীতিমতো কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন নেইমার। আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলে হারানো ম্যাচে ব্রাজিলের জয়ের মধ্যমণি ছিলেন ওই নেইমারই। কি ক্লাব, কি জাতীয় দল সবখানেই অপ্রতিরোধ্য তিনি। আর মেসি। আরও একবার প্রমাণ করেন ক্লাবের হয়ে অপ্রতিরোধ্য হলেও দেশের জার্সিতে শূন্য। মেসি, ডি মারিয়াদের এই ব্যর্থতায় পরবর্তী বিশ্বকাপ খেলা নিয়েও এখন শঙ্কায় আর্জেন্টিনা। অথচ নেইমারের ব্রাজিল প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গোল করে দেশের জার্সিতে ৫০ গোলের মাইফলক স্পর্শ করেন ২৫ বছর বয়সী নেইমার। দক্ষিণ আমেরিকা বা ইউরোপের আর কারও এত কম বয়সে ৫০ গোল করার রেকর্ড নেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর পর পেরুর বিরুদ্ধেও জয় পায় ব্রাজিল। চার মাস পর আবারও বাছাইপর্বে মাঠে নামছে সেলেসাওরা। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটির আগে দলের সেরা তারকা নেইমার বলেছেন, ব্রাজিলের রক্তে আছে জয়ের নেশা। এজন্য অবশ্য পুরো কৃতিত্বই কোচ টিটেকে দিয়েছেন নেইমার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্থক্য হলো দলের আত্মবিশ্বাস। টিটের অধীনে আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। আমাদের দলটি সবসময়ই ভাল ছিল। কিন্তু আমরা জ্বলে উঠতে পারছিলাম না। অবশেষে আমরা আমাদের ব্রাজিলিয়ান ডিএনএ দেখাতে পারছি। আশা করছি উরুগুয়ের বিরুদ্ধেও এটা দেখাতে পারবে দল। তবে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটি সহজ হবে না বলেই মনে করছেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফিলিপ লুইস। এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই লেফট ব্যাক বলেন, উরুগুয়ের সুয়ারেজ নেই। তাতেও ওরা দমে যাওয়ার পাত্র না। আমাদের সেরাটাই খেলতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্দান্ত সাফল্য ধরে রেখেছি। বাছাইপর্বে শীর্ষে থেকেই রাশিয়ার টিকেট কাটতে পারব বলেই বিশ্বাস করি। তারপরও বলছি উরুগুয়ে আমাদের ছেড়ে কথা বলবে না। আসন্ন ম্যাচটি আমাদের জন্য কঠিন পরীক্ষার একটি ম্যাচ। তবে কঠিন ম্যাচকে কিভাবে পাড়ি দিতে হয় আমাদের জানা আছে। গত কয়েকদিন জাতীয় দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। সবকিছু ভালর পথেই যাবে বলে বিশ্বাস করছি। এদিকে দলে ডাক না পেয়ে ভীষণ হতাশ হয়েছেন ডেভিড লুইস। গত গ্রীষ্মে তৎকালীন কোচ কার্লোস দুঙ্গার বিদায়ের পর টিটে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে আছেন লুইস। হতাশাটা আড়াল করতে পারেননি তিনি। লুইস বলেন, ব্রাজিল দলে থাকতে না পেরে আমি হতাশ। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা করি।
×