ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আইটি ডট কম

ড্রোন নিয়ন্ত্রণে নতুন কৌশল

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

ড্রোন নিয়ন্ত্রণে নতুন কৌশল

ড্রোন নিয়ে নানা ধরনের ঝকমারি হয়েছে ও হচ্ছে। সেই ঝকমারি থেকে রেহাই পেতে সম্প্রতি উদ্ভাবিত হয়েছে ড্রোনগান যা ১ দশমিক ২ মাইল দূর থেকে ড্রোন নামিয়ে ফেলতে পারে। ড্রোনগানটি হলো ১৩ পাউন্ড ওজনের একটি রাইফেল আকৃতির জ্যামার। সরকারী সংস্থা, বিমানবন্দর অপরাটের ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন চাইলেই এই উড়ন্ত যানটিকে নামিয়ে ফেলতে পারবে। অবশ্য তার জন্য কোন গুলি বা বিস্ফোরক ছুড়তে হবে না। ড্রোনগান তৈরি করেছে ড্রোনশিল্ড নামে একটি কোম্পানি। কোম্পানিটি জানায় যে এই রাইফেল দিয়ে সামরিক বা বেসামরিক বিমান হামলা চালাতে বিস্ফোরক নিয়ে আসা যে কোন ড্রোনের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দেয়া যাবে। আবার প্রবেশ নিষেধ এমন এলাকার আকাশপথে বেআইনীভাবে ড্রোনের প্রবেশ ঠেকাতে পারা যাবে। বন্দুকটির কাজ সচরাচর যা হওয়ার কথা ঠিক তা নয়। নিক্ষেপযোগ্য কোন কিছু এর দ্বারা ছোড়া হয় না অথবা এমন কোন বিস্ফোরণও ঘটানো হয় না। দারুণ উত্তেজনাকর এ্যাকশনধর্মী ছায়াছবির মতো। বরং ড্রোনগানের কাজ হচ্ছে ড্রোন কোথায় যাবে না যাবে বলে দেয়ার জন্য যে রেডিও এবং জিপিএস ফ্রিকোয়েন্সি থাকে সেগুলো জ্যাম করে দেয়া। এরপর গান অপারেটর তাৎক্ষণিকভাবে ড্রোনটি নামিয়ে ফেলতে পারে কিংবা যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে যাওয়ার সঙ্কেত দিতে পারে। যে সব সংস্থা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে তাদের জন্য ড্রোন একটা উপদ্রব এবং কখনও কখনও নিরাপত্তার প্রতি বিঘœ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে এগুলো রানওয়ের এত কাছাকাছি চলে আসে যে এয়ারপোর্টগুলোতে এসব সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। কয়েদিদের নিষিদ্ধ বস্তু সরবরাহ করতে আসা ড্রোনকে মাঝপথে বাধা দিতে হয়েছে অনেক কারা কর্র্তৃপক্ষকে। এমনকি হোয়াইট হাউস কর্র্তৃপক্ষও ড্রোনকে হোয়াইট হাউসের ময়দানে জরুরী অবতরণে বাধ্য করেছে। এখন ড্রোনগান বের হওয়ায় এসব ঝক্কি পোহাতে হবে না। গুলি করে ভূপাতিত করার চেয়ে জ্যামার দিয়ে ড্রোন নামিয়ে ফেলা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। ড্রোনগান ইন্টারনেট রাউটার বা রিমোট কন্ট্রোল ট্রয় কারের মতো ইলেট্রনিক সামগ্রী জ্যাম করার কাজেও ব্যবহৃত হতে পারে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট
×