ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা আমেনার মানবেতর জীবনযাপন ॥ ভাতা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

মুক্তিযোদ্ধা আমেনার মানবেতর জীবনযাপন ॥ ভাতা বন্ধ

সংবাদদাতা, বদরগঞ্জ, রংপুর, ১২ ডিসেম্বর ॥ বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের স্ত্রী সহমুক্তিযোদ্ধা আমেনা বেগম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে স্বামীকে যুদ্ধে পাঠিয়ে তিনি ক্ষান্ত হননি, মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার তৈরিসহ এলাকার যুবকদের সংগঠিত করে ভারতের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে পাঠানো ও তাদের উৎসাহ প্রদান ছিল তার ওই সময়ের কাজ। স্বামীকে পরামর্শসহ সম্মুখ যুদ্ধের কথা এবং তাকে সাহস ও তার মনোবল অটুট রাখার জন্য তাকে সবসময় আমেনা প্রেরণা যুগিয়েছেন। অসহায় আমেনা এখন বয়সের ভারে হাঁটতে চলতে পারেন না। ৬-৭ বছর ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছেন। মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকায় কোন রকমে তাঁর চিকিৎসা। স্বামীর শেষ সম্বলটুকু মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও দুইবছর ধরে বন্ধ। অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না তার। তার উপর সংসারের উপার্জনক্ষম একমাত্র ছেলের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। মুক্তিযোদ্ধা আমেনার পরিবারটি আজ পথে বসেছে। দেখার কেউ নেই। খাগড়াবন্দ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির করুণ দশা। মাটির তৈরি দুটি ঘরে বসবাস করছেন ছেলে, ছেলে বউ, নাতি-নাতনি মিলে দশ জন। কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের স্ত্রী অসহায় আমেনা বেগমের সঙ্গে, তিনি জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামে ৭নং সেক্টরের অধীনে আমার স্বামী লুৎফর রহমান যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ চলাকালীন আমি আমার স্বামীর সঙ্গে সহমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কাজ করেছি। যা গেজেট নং-৬১৫, ক্রমিক নং-০১,আইডিনং-০৬০৭০১০১৩৭,স্বারক নং-২৫৯৩/০২,মুক্তিবার্তা নং-০৩১৩০৩০০০৩। কুষ্টিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত নিহত ॥ আহত ৪ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১২ ডিসেম্বর ॥ র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। রবিবার রাতে ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল নামক স্থানে নৈশকোচে ডাকাতির সময় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুস সালাম (৫০) নামে একজন ডাকাত নিহত ও চারজন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১টি রিভলবার, ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ৮ রাউন্ড গুলি, ২টা চাপাতি ও ১টি ছোরা উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব-১২ সূত্র জানায়, রবিবার রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী নৈশকোচ হানিফ পরিবহনে ডাকাতি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়ার একটি টিম ভেড়ামারা ১২ মাইলে অভিযানে যায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। পরে ডাকাত দলের ৫ সদস্য আহত হয়ে র‌্যাবের হাতে আটক হয়। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ আব্দুস সালামকে মৃত ঘোষণা করেন।
×