ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডাটা সেন্টার সামিট ও প্রদর্শনী শেষ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৪ ডিসেম্বর ২০১৬

ডাটা সেন্টার সামিট ও প্রদর্শনী শেষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় দুদিনব্যাপী ‘ডাটা সেন্টার টেকনোলজি ও গ্রিন ডাটা সেন্টার সামিট’ শনিবার শেষ হয়েছে। আট দেশের অংশগ্রহণে শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এই সামিট ও প্রদর্শনী শুরু হয়েছিল। সামিটে ডাটা সেন্টার পরিচালনায় দক্ষতা ও সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সেমিনার থেকে দেশীয় ডাটা সেন্টারের উদ্যোক্তারা অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছেন। এই উদ্যোগ দেশীয় ডাটা সেন্টার পরিচালনাকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সামিটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- ডাটা সেন্টারের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানকে একত্রিত করা। এখান থেকে দেশের ডাটা সেন্টারের ভোক্তাগণ তাদের সমস্যার সমাধান পেয়েছেন। দেশীয় উদ্যোক্তারা সরকারের ডিজিটালাইজেশনকে আরও মজবুত করতে পারবেন। তারা দেশকে ক্রমান্বয়ে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলাতে পারবেন। সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী বছরও ঢাকায় ডাটা সেন্টার সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সামিটে অংশ নিয়েছে। আগামীতে আরও বেশি দেশ সামিটে অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। সামিটে বক্তারা বলেন, ডাটা সেন্টার নিয়ে বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের অর্জন প্রশংসিত। ডাটা সেন্টারের এ ধরনের সম্মেলনে দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীরা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নিয়ে জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ পাবেন। আমাদের দেশে যেসব ডাটা সেন্টারের কাজ করছে- সেখানে স্থানীয় প্রকৌশলীরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখছেন। বর্তমানে দেশে ৫শ’র ওপরে ডাটা সেন্টার কাজ করে যাচ্ছে। এই সামিট তাদের জন্য অনেক বড় একটি বিষয়। তারা এখান থেকে অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছেন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করতে পারবেন। এই সামিট থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা নিজেদের ভুল ত্রুটি সংশোধন করতে পারবেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি (বিসিএস) ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি), কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন, ডাটা সেন্টার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডিসিআইকন ও এশরের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের যৌথ আয়োজনে ঢাকায় এ ধরনের আয়োজনের প্রশংসার দাবিদার। সামিটে ডিসিআইকনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ বলেন, প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই সামিটে বাংলাদেশসহ যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, ভারত অংশ নিয়েছে। এসব দেশ থেকে ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান সামিটে স্টল স্থাপন করে ডাটা সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। বিদেশী ডাটা সেন্টারগুলোতে কিভাবে কাজ হয়, তা আমাদের দেশের ডাটা সেন্টার পরিচালনাকারী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা বিদেশীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। এই জানা ভবিষ্যতে কাজে লাগিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। এ ধরনের আয়োজন তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে সমৃদ্ধ করে। আগামীতে আমরা আরও বড় পরিসরে সামিটের আয়োজন করব। যাতে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। আমাদের উদ্দেশ ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমাদের লক্ষ্য হলো যারা ডাটা সেন্টার করবেন অথবা তৈরি করছেন তাদের সবাইকে একত্রিত করা। সেই লক্ষ্য সফল হয়েছে। ডাটা সেন্টার সামিটে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এখানে অংশ নিয়েছেন। তার নলেজ শেয়ার করতে পেরেছেন। এককথায় তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী বা নীতি নির্ধারকদের জন্য এটি একটি উন্মুক্ত সামিট। ডাটা সেন্টার টেকনোলজি সামিট থেকে ডাটা সেন্টার ভোক্তারা তাদের সব ধরনের সমস্যার সমাধান পেয়েছেন।
×