ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হল থেকে ল্যাপটপ চুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষের পর রুয়েট ৭ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১২ নভেম্বর ২০১৬

ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষের পর রুয়েট ৭ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী/রাবি সংবাদদাতা ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে সহিংসতার আশঙ্কায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রুয়েটের শহীদ আব্দুল হামিদ হলে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। হল থেকে ল্যাপটপ চুরিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে রুয়েট কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিন বেলা ৩টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। রুয়েট সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রুয়েটের ছাত্রলীগ কর্মী তপু ও সাখাওয়াত গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সম্প্রতি শহীদ আব্দুল হামিদ ও জিয়াউর রহমান হলে কয়েকটি ল্যাপটপ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শহীদ আবদুল হামিদ হলে দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রামদা, চাপাতি ও রড নিয়ে দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে দুই গ্রুপের পাঁচ কর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত গ্লাস এ্যান্ড সিরামিক বিভাগের ১৩ সিরিজের শিক্ষার্থী মাসুম রায়হানকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হলের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এনএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, পরপর দুই দিন ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রুয়েট এক সপ্তাহ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময় হলগুলো বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বিকেল ৩টার মধ্যে সবাইকে হল ত্যাগের নোটিস দেয়া হয়েছে। ১৮ নবেম্বর সকাল ৯টায় হলগুলো খুলে দেয়া হবে। নগরীর মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রুয়েট ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হিমেল বলেন, তিনি পারিবারিক কাজে ক্যাম্পাসের বাইরে রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে হঠাৎ ক্যাম্পাস বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশে বিপাকে পড়েন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বেলা তিনটার মধ্যে শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে চলে যায়। ট্রেনে বাসে তাৎক্ষণিক টিকিট না পেয়ে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়ে।
×