ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাড়ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৯ অক্টোবর ২০১৬

বাড়ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার

কোন দেশের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা উৎপাদিত হয় তার চলতি বাজারমূল্যকে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি বলে। চলতি (২০১৬-১৭) অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে একই পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। যদিও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার আরও কিছুটা কমে সাড়ে ৬ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করেছে সংস্থাটি। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের ওপরে হবে বলে প্রাক্কলিত করেছে সরকার। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গেল অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানান। এছাড়া এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবিও) এ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। এবারের গ্লোবাল ইকোনমিক আউটলুকে চলতি অর্থবছরে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি মন্থর হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আইএমএফ। মূলত নির্বাচন পূর্ববর্তী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের সরে আসার সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব প্রবৃদ্ধিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে সংস্থাটি। আর তাই চলতি অর্থবছরে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১ শতাংশ থাকবে বলে মনে করছেন তারা। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে বলা হয়েছে আউটলুকে। ঐতিহাসিক চার্ট এবং রিলিজ ক্যালেন্ডার- ২০১৬ এর অক্টোবরের শেষ আপডেট অনুযায়ী জিডিপির ১৪ শতাংশ আসে পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য থেকে, গুদামজাতকরণ থেকে ১১ শতাংশ , রিয়েল স্টেট থেকে ৭ শতাংশ, ইন্ডাস্ট্রি থেকে ৩০ শতাংশ, নির্মাণশিল্প থেকে ৯ শতাংশ, কৃষি ও বনজশিল্প থেকে ১৬ শতাংশ, এবং মৎস্যশিল্প থেকে ৪ শতাংশ সংগ্রহ করা হয়। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফাঁদ ভেঙ্গে। তবে দ্রুত উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে করছে আইএমএফ। জিডিপি বৃদ্ধি পেলে মাথাপিছু আয় বাড়বে, বেকারত্ব দূর হবে। চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫০ টাকা বেশি। যদি এভাবে পরপর তিন বছর হয়, তাহলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের মানদণ্ড অনুযায়ী একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃত হবে।
×